• ঢাকা শুক্রবার
    ১৪ নভেম্বর, ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২

দেশের মানুষের এখন প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২৫, ০৫:৫৬ পিএম

দেশের মানুষের এখন প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু

চট্টগ্রাম ব্যুরো

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের এই মুহূর্তের প্রধান চাহিদা একটা উৎসবমুখর নির্বাচন। বাংলাদেশের মানুষ এখন সেই অপেক্ষায় আছে, অন্য কোনো ছোটখাটো বিষয় নিয়ে আমাদের সময় নষ্ট করে লাভ নেই। আমরা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাই, দেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দিই। তাদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সংসদ ও সরকার গঠন করতে পারি—যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। এটা হচ্ছে মানুষের চাহিদা।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে নগরের হোটেল পেনিনসুলার একটি অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশের মানুষের এখন সবচেয়ে বড় চাহিদা একটা গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনা—যেটা সম্ভব একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে। আজকে জনগণ ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। একটি সংসদ গঠন, একটি সরকার গঠন ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনের মধ্য দিয়েই সম্ভব। একটি সংসদ হবে যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, জবাবদিহি থাকবে, এই বিষয়টা বাংলাদেশের গত ১৫–১৬ বছর ধরে অনুপস্থিত।

নির্বাচিত সরকারই সব সমস্যার সমাধান উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনব। এরপর জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে যত সমস্যার কথা এখন বলা হচ্ছে সব সমস্যার সমাধান হবে। সাংবিধানিক বলেন, অর্থনৈতিক বলেন, সব সমস্যার সমাধান আছে নির্বাচিত প্রতিনিধি ও সরকারের মাধ্যমেই। এর বাইরে কোনো সরকার জনগণের চাহিদা বুঝবে না, মনের কথাও বুঝবে না। নির্বাচিত সরকার এলে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে সেগুলোর সমাধান হবে—এর বাইরে করার কোনো সুযোগ নেই।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায়ের দিন বিশৃঙ্খলা হলে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করবে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, বিশৃঙ্খলা তো ঠেকাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, এই দায়িত্ব তো কোনো রাজনৈতিক দলের না। আস্তে আস্তে আমাদের ওই কালচার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে—তাদের দায়িত্ব হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা। যাদের দায়িত্ব, তারা পালন করা ভালো। আর বিচার করার জন্য তো বিচার বিভাগ আছে—এটা তাদের ওপরই ছেড়ে দিন। আমরা একটা নিরপেক্ষ বিভাগ চেয়েছিলাম, সেটা ইতোমধ্যে হয়েছে। বিচার বিভাগকে আগামী দিনে আরও প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাউন্ড দেওয়া হবে।

রাজনীতি সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ