প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫, ১১:৫১ পিএম
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে দেশের পথে রওয়ানা হয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় লন্ডনের হিথ্রু বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তিনি।
তার সঙ্গে আছেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন বলে জানা গেছে।
বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
তারেক রহমানের দেশে ফেরা ঘিরে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আবেগ-উচ্ছ্বাস ও উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। প্রবাসে দীর্ঘ সময় কাটানোর পর তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে বিএনপির রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে দেখছেন দলটির নেতারা।
তারেক রহমান দেশে ফিরে তিনি প্রথম যেখানে বক্তব্য দেবেন সেই পূর্বাচল এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এ লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দলীয় স্বেচ্ছাসেবকরাও সুশৃঙ্খলভাবে আয়োজন সম্পন্ন করতে কাজ করছেন।
দেশে ফিরে তারেক রহমান প্রথমে তার মা এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। পথে তিনি পূর্বাচল সংলগ্ন ৩০০ ফিট সড়কে (জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে) এক সংক্ষিপ্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিক অনুমতিও পেয়েছে বিএনপি। মঞ্চ নির্মাণসহ সার্বিক প্রস্তুতি প্রায় শেষ। ইতোমধ্যে দফায় দফায় দলের শীর্ষ নেতারা অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করে প্রস্তুতির অগ্রগতি দেখছেন।
বিতর্কিত ‘ওয়ান-ইলেভেন’ সরকারের সময় গ্রেপ্তার করা হয় তারেক রহমানকে। ২০০৮ সালে কারামুক্ত হয়ে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান তিনি।
এরপর দীর্ঘ সময় তিনি সেখানেই অবস্থান করছিলেন। তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান একাধিকবার দেশে এলেও এতদিন তারেক রহমানের দেশে ফেরা সম্ভব হয়নি।