• ঢাকা শনিবার
    ১১ মে, ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

দিনের বেলায় স্বপ্নদোষ হলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে কি?

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৩, ১২:৫৩ এএম

দিনের বেলায় স্বপ্নদোষ হলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে কি?

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রোজা রেখে রোজার দিনের বেলায় যদি কারও ঘুমে স্বপ্নদোষ হয়, তাহলে তার রোজা হবে কি? রোজাদারের স্বপ্নদোষ হলে তখন করণীয় কী?

বী‍‍`র্য‍‍`থ‍‍`লি‍‍`র ধারণক্ষমতা পূর্ণ হওয়ার পর ঘুমন্তাবস্থায় অনিচ্ছাকৃতভাবে বী‍‍`র্য‍‍`প‍‍`থে বী‍‍`র্য‍‍`পা‍‍`ত ঘটার মাধ্যমে দেহে বী‍‍`র্যে‍‍`র ভারসাম্য নিয়ন্ত্রিত হয়, একেই স্বপ্নদোষ বলা হয়। স্বপ্নদোষের সময় অনেকে স্বপ্নে অবচেতনভাবে যৌ‍‍`ন কর্মকাণ্ডের প্রতিচ্ছবি অবলোকন করেন, তবে উক্ত অনুভূতি ছাড়াও স্বপ্নদোষ সঙ্ঘটিত হয়। কিন্তু রোজা অবস্থায় যদি স্বপ্নদোষ হয় তবে করণীয় কী?

রোজা অবস্থায় দিনের বেলায় স্বপ্নদোষ হলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ, এটি ইচ্ছাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। এ ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই রোজা সম্পূর্ণ করবেন। কাজা বা কাফফারা কিছুই লাগবে না।

কেউ কেউ মনে করেন, রোজা অবস্থায় যদি স্বপ্নদোষ হয়, তাহলে রোজা ভেঙে যায়। তাদের এ ধারণা ঠিক নয়। স্বপ্নদোষের কারণে রোজা ভাঙে না। হাদিসের বর্ণনায় এসেছে, তিনটি বস্তু রোজা ভঙ্গের কারণ নয়-


১. বমি করলে। তা অল্প কিংবা বেশি হোক।

২. শিঙ্গা লাগানো। রোগের জন্য শরীরে শি‍‍`ঙ্গা লাগালে রোজার কোনো ক্ষতি নেই।

৩. স্বপ্নদোষ। নারী হোক কিংবা পুরুষ; রোজা রাখা অবস্থায় দিনের বেলায় স্বপ্নদোষ হলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। (মুসনাদে বাযযার, মাজমাউয যাওয়ায়েদ তিরমিজি, বায়হাকি)

উল্লেখ্য, সজ্ঞান রতিক্রিয়ায় রোজা ভঙ্গ হয়। ইচ্ছাকৃত হলে কাজা ও কাফফারা উভয়টা আদায় করতে হয়। আর অনিচ্ছায় হলে শুধু কাজা আদায় করতে হয়। স্বপ্ন যেহেতু স্বেচ্ছায় নয় এবং সজ্ঞানও নয়, তাই রোজা অবস্থায় রাতে বা দিনে স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভাঙবে না; স্বাভাবিকভাবেই রোজা পূর্ণ করবেন। কাজা-কাফফারা কিছুই প্রয়োজন হবে না। প্রয়োজনমতো অজু-গোসল ও পবিত্রতা অর্জন করে নামাজ আদায় করতে হবে।


এডিএস/

আর্কাইভ