প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২০, ২০২৫, ০৯:১৩ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশের কবরস্থান এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই বিপ্লবী শহিদ শরিফ ওসমান হাদি।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সাড়ে তিনটার দিকে হাদিকে দাফন করা হয়। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত নামলেও ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। কেউ বাইরে দাঁড়িয়ে দোয়া করছেন, কেউ কবর দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন। আবার কেউ কেউ মোবাইলে ছবি তুলছেন।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সাড়ে রাত সাড়ে সাতটার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, কবরস্থানের সামনের অংশের নিরাপত্তা বাহিনীর বলয় খুলে দেওয়া হয়েছে।
শাহবাগ থানা ও টিএসসির ব্যারিকেডও তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে বিভিন্ন জায়গায় এখনো পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন। একইসঙ্গে কবরস্থানে প্রবেশের জন্য ব্যবহৃত মসজিদের গেট এবং বাইরের মূল গেটেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে রাতে কবরস্থানে পুলিশি প্রহরা অব্যাহত থাকবে। এ সময় ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। কেবল বাইরের অংশ থেকেই মানুষ দোয়া করতে পারছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা বলেন, রাতে এখানে পুলিশ প্রহরা থাকবে। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আগামীকালও এই এলাকায় বাড়তি সতর্কতা বজায় রাখা হতে পারে। কবে নাগাদ আবার কবরস্থানটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে এমন প্রশ্নে তিনি কোনো নির্দিষ্ট সময় জানাতে পারেননি।