• ঢাকা শনিবার
    ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

পেলের কফিনের সঙ্গে সেলফি তুলে বিতর্কিত ইনফান্তিনো

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৩, ০৭:২৭ পিএম

পেলের কফিনের সঙ্গে সেলফি তুলে বিতর্কিত ইনফান্তিনো

ক্রীড়া ডেস্ক

ফুটবল কিংবদন্তী পেলে প্রয়াত হয়েছেন কয়েকদিন আগেই। গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠান। শেষশ্রদ্ধা জানাতে পেলের কফিন নেয়া হয়েছিল তার কৈশোরের ক্লাব সান্তোসের মাঠ ভিলা বেলমিরোতে। যে ক্লাবটিতে পেলে খেলেছেন ১৮টি বছর। সান্তোসের সঙ্গে পেলের যে আবেগ-ভালোবাসা রয়েছে তা তো ফুটবল প্রেমীদের সবারই জানা। তবে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের আগে সেই আবেগকে আবারও পুনর্জীবিত করেছেন পেলে। তিনি বলেছিলেন, মৃত্যুর পর তার শবদেহ যেন সান্তোসের মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। আর তাই হয়েছে। পেলেকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে সেখানে জড়ো হয়েছিলেন ব্রাজিলের মানুষ ও বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা খেলার জগতের তারকা আর সংগঠকেরা। বাদ যাননি ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। এদিন পেলের খোলা কফিনের সঙ্গে সেলফি তুলেছেন ইনফান্তিনো। সেসময় তিনি সেখানে করে বসেন অদ্ভুত কাণ্ড। ফলে সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।

ফুটবলের রাজাকে মানুষ যেনো শেষবারের মতো দেখতে পায়, তাই খুলে রাখা হয়েছিল কফিনের ঢাকনা। আর সেই খোলা কফিনের সামনে হঠাৎ নিজের মুঠোফোনটি বের করে সেলফি তোলেন ইনফান্তিনো। যদি বিষয়টা সেলফি তোলার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতো তাহলে হয়তো তা গড়াতো না বহুদূর। তবে সেলফি তোলার সময় তার অদ্ভুত কাণ্ড নজর এড়ায়নি সমালোচকদের।

ইনফান্তিনোর সেলফি তোলার সময় দেখা যায়,  পেলের বোনকে এড়িয়ে সামান্য এগিয়ে পাশে সরে যান তিনি। তাতে তার সেলফি থেকে বাদ পড়ে যান পেলের বোন। এমনকি, সেলফি তোলার একটু পর ইনফান্তিনোর পাশে এক ব্যক্তি এসে দাঁড়ান। সেসময় ফিফা সভাপতির সঙ্গে সেলফি তোলার জন্য মুঠোফোন বের করেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু তাকে ব্যক্তিকে সেলফি তুলতে দেননি ইনফান্তিনো। এ ঘটনার পর পেলের স্ত্রী মার্সিয়া ও ছেলে এদিনিওকে সমবেদনা জানান ফিফা সভাপতি।

উল্লেখ্য, এর আগে নানা সময় বিতর্কিত হয়েছিলেন ফিফা সভাপতি। সমালোচনা হয়েছিল ২০২২ বিশ্বকাপের আগে সংবাদ সম্মেলনে বলা তার কথা নিয়ে। এরপর সমালোচিত হয়েছিলেন বিশ্বকাপ ফাইনালের দিন। এদিন মেসিকে ধরে ট্রফির কাছে নিয়ে যান ফিফা সভাপতি। পুরস্কারের মঞ্চে তার আচরণ নিয়ে সমালোচনা করেছেন কিংবদন্তি ইংলিশ ফুটবলার অ্যালান শিয়ারার। তিনি বলেছিলেন, ‘মেসিকে খেলার সময়ও এত আঁটসাঁট মার্ক কেউ করেনি!’

 

 

এআরআই/এনএমএম/
 

আর্কাইভ