• ঢাকা রবিবার
    ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
যে কারণে বেড়েছে আদার দাম

৫৮ টাকার আদা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা দরে

প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৩, ০১:১৭ এএম

৫৮ টাকার আদা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা দরে

ছবি: সংগৃহীত

আব্দুল বারী, ঢাকা

কোরবানির ঈদের আগেই বেড়ে যাচ্ছে আদার দাম। যে আদার দাম ছিল ৫৮ টাকা সেই আদার কেজি এখন ৩০০ টাকারও উপরে।

কেন বেড়েছে আদার দাম তা নিয়ে সিটি নিউজ ঢাকার বিশ্লেষণে যা মিলেছে তা হলো এই যে, ইন্দোনেশিয়া ভিয়েতনাম চীন ভারত ও মিয়ানমার থেকে আদা আমদানি করা হতো। সরকারী নীতি অনুসারে  আমদানী রেগুলেট করায় গত এক মাস ধরে চীন থেকে আদা আমদানি বন্ধ রয়েছে। একই সাথে অন্যান্য দেশগুলো থেকেও আমদানি হচ্ছে খুবই কম। তাই অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে আদার দাম।

এসব কারণে বাজারের দখল নিয়েছে মিয়ানমারের আদা। তাই মিয়ানমারের যে আদা আগে ৫৮ টাকায় বিক্রি হতো তা এখন ৩০০ টাকারও উপরে চলে গেছে।  

গতকাল শুক্রবার (২৬ মে) খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হয়েছে ২২০ টাকা দরে। খুচরা ব্যবসায়ীরা সেই আদা বিক্রি করছেন ২৮০-২৯০ টাকায়।  

চাক্তাই ফোরকান ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. ফোরকান বলেন, বাইরের দেশ থেকে আদা আমদানি কমেছে। এখন পাওয়া যাচ্ছে মিয়ানমারের আদা। সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। এক বছরের ব্যবধানে দেশি আদার দামও বেড়ে গেছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস ও টেকনাফ শুল্ক স্টেশনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মে মাসে ইন্দোনেশিয়ার আদার গড় আমদানি মূল্য শুল্কসহ ১০৯ টাকা, ভিয়েতনামের আদা ৯৯ টাকা, ভারতের আদা প্রতি কেজি শুল্কসহ খরচ হয়েছে ৫৭ টাকা। মিয়ানমারের আদার আমদানি মূল্য প্রতি কেজি ৫৮ টাকা। গত ২২ দিনে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে ১ হাজার ৮১৭ টন আদা আমদানি করা হয়েছে। গত ১৭ এপ্রিল সর্বশেষ চীন থেকে ৫৪ টন আদা আমদানি হয়।

খাতুনগঞ্জের ফারুক ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী ফারুক আহমেদ জানান, চীনে আদার ফলন ভালো না হওয়ায় তারা উল্টো ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনাম থেকে আদা আমদানি করছে।  

মিয়ানমার থেকে আদা আমদানিকারক রাফা ট্রেডার্স এর মালিক ওমর ফারুক বলেন, ফরেন ড্রাফটের মাধ্যমে এক চালানে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার ডলারের নিত্যপণ্য আমদানি করা যায়। ব্যাংকগুলোতে ডলার সংকটের কারণে আদা আমদানি বাড়ানো যাচ্ছে না। এসব সমস্যার সমাধান না হলে ঈদের আগে আদার বাজার স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। তবে সরকারী প্রচেষ্টার কাছে অসম্ভ বলে তো কিছু নেই। সেই প্রচেষ্টা জনতাকে কতটা স্বস্তি দেবে তা অপেক্ষা করে দেখা ছাড়া আর কোন উপায় আছে বলে মনে হচ্ছেনা। 
 

 

অর্থ ও বাণিজ্য সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ