• ঢাকা মঙ্গলবার
    ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

আনন্দনগরে নেই আনন্দ, বাঁশের সাঁকোতে দুর্ভোগ চরমে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১, ১১:৩৬ এএম

আনন্দনগরে নেই আনন্দ, বাঁশের সাঁকোতে দুর্ভোগ চরমে

নাটোর প্রতিনিধি

আত্রাই নদী ও চলনবিল দিয়ে ঘেরা নাটোরের সিংড়া উপজেলার ৫নং চামারী ইউনিয়নের আনন্দনগর গ্রাম। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে দুর্ভোগে কাটছে এখানকার অন্তত পাঁচ হাজার মানুষের জীবন। গ্রামের মানুষ পিছিয়ে আছে কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে। যার কারণে আনন্দনগর গ্রামবাসীর মাঝে আনন্দ নেই বললেই চলে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পাঁচ হাজার মানুষের চলাচলের জন্য রয়েছে একটি বাঁশের সাঁকো। বর্ষা এলেই দুর্ভোগ যেন দুগুণ বেড়ে যায়। নদীর পানি বেড়ে গেলে সাঁকো পারাপার করতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। অন্যদিকে, চলাচলের জন্যও রয়েছে একটি মাত্র রাস্তা। সেই রাস্তাটিতেও খানাখন্দের কারণে চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করে ডাহিয়া, বেড়াবাড়ী, পানলি, কাউয়াটিকরি, আয়েস, বিয়াস ও বারুহাস গ্রামের মানুষ। এছাড়া সিংড়ার আনন্দনগর গ্রামে পাঁচ হাজার মানুষের জন্য রয়েছে সাতটি মসজিদ, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি ব্র্যাক স্কুল, একটি মাদরাসা, একটি কমিউনিটি ক্লিনিক।

স্থানীয়রা জানান, ব্রিজটি নির্মাণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। অনেক জনপ্রতিনিধি প্রশ্রুতি দিলেও দীর্ঘ কয়েক বছরেও ব্রিজটি নির্মাণ করেননি কেউ। আশায় বুক বেঁধে আছেন, কবে নির্মাণ হবে ব্রিজ।

স্থানীয় কৃষক রহিম শেখ সিটি নিউজকে বলেন, একটি পাকা ব্রিজের অভাবে আমাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য সঠিক সময়ে হাটে-বাজারে নিয়ে যেতে পারি না। মাথায় বস্তা নিয়ে সাঁকো পার হতে হয়। এতে করে আমরা সব দিক দিয়ে পিছিয়ে আছি।

গ্রামের অন্য বাসিন্দা করিম মন্ডল বলেন, যোগাযোগব্যবস্থা এতই খারাপ যে ছেলে-মেয়েদের ভালো জায়গায় বিয়েও দিতে পারি না। এ গ্রাম থেকে বের হতেই ১ ঘণ্টা সময় লাগে। অনেক সময় সংকটাপন্ন অনেক রোগী চিকিৎসার অভাবে রাস্তায় মারাও যান।

চামারী ইউপি চেয়ারম্যান মো. রশিদুল ইসলাম মৃধা জানান, আনন্দনগর একটি অবহেলিত গ্রাম। এই গ্রামের মানুষের একটা ব্রিজ নির্মাণের দীর্ঘদিনের দাবি। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও বিষয়টি নিয়ে অবগত আছেন৷ খুব শিগগিরই ওই এলাকায় একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।

টিআর/ডাকুয়া

আর্কাইভ