• ঢাকা মঙ্গলবার
    ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

চলনবিলে গড়ে উঠেছে ভাসমান হাঁসের খামার

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২১, ১১:২২ পিএম

চলনবিলে গড়ে উঠেছে ভাসমান হাঁসের খামার

লিটন হোসেন লিমন, নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের চলনবিলে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে ভাসমান হাঁসের খামার। পুরো চলনবিল জুড়ে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪০০ হাঁসের খামার। সব মিলে প্রায় দেড় লাখ হাঁস রয়েছে এই ভাসমান খামারে। এই খামারের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে প্রায় কয়েক হাজার পরিবার।

ভাসমান হাঁস পালন লাভজনক হওয়ায় দিনে দিনে বেড়ে চলেছে এর পরিধি। এই হাঁস পালনে খরচ কম হওয়ায় লাভটা বেশি। বিলের শামুক, কীটপতঙ্গ খায় বলে হাঁসের বাড়তি খরচ হয় না।


এসব ভাসমান খামার চলনবিল জুড়ে দেখা মেলে পানি হাঁসের খাদ্যের ওপর নির্ভর করে তাদের অবস্থান। প্রতিটি স্থানে ১০-১৫ দিন করে অবস্থান করে এসব ভাসমান খামার। প্রতিদিন এসব হাঁস থেকে ডিম সংগ্রহ করেন মালিকেরা। চলনবিলে প্রাকৃতিক উপায়ে ডিম উৎপাদন হয় বলে এর চাহিদা দেশজুড়ে। বিশেষ করে অঞ্চল থেকে সরাসরি ঢাকার ডিম ব্যবসায়ীরা কিনে থাকেন। প্রতি হালি ডিম মালিকেরা ৪৮-৫০ টাকায় বিক্রি করেন। অন্যদিকে বেকার যুবকেরা ভাসমান হাঁস পালনে উৎসাহিত হচ্ছেন।


খামারি মোআলামিন বলেন, ‘আমি দশ বছর ধরে চলনবিলে হাঁস পালন করি। প্রতিদিন ডিম বিক্রি করে হাঁসের খাদ্য কিনে যা থাকে তা দিয়ে সংসার চলে। সারা বছর ভালো করেই সংসার চলে যায় আমার।’

খামারি আলাউদ্দিন বলেন, ‘হাঁস পালন করে তিন ছেলে-মেয়েকে পড়াশোনা করিয়েছি। দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। হাঁস পালন করে আমার সংসারের সকল প্রয়োজন মিটে।’


খামারি রহিম উদ্দিন বলেন, ‘ভাসমান হাঁস পালন খুব লাভজনক। তেমন বাড়তি খাদ্যের প্রয়োজন হয় না। বিলের শামুক, ঝিনুক কীটপতঙ্গ খেয়ে থাকে। হাঁস নিয়ে সেই সকালে বের হই আর সন্ধ্যায় খামারে ফিরে আসি।’

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকতা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘চলনবিলের ভাসমান খামারগুলোতে প্রায় দেড় লাখের মতো হাঁস রয়েছে। প্রতিটি খামারেই অন্তত দু-তিনজন শ্রমিক কাজ করছেন। দিনে দিনে বেড়ে চলেছে চলনবিলের ভাসমান হাঁসের খামার। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে খামারিদের সব সময় হাঁস পালনে পরামর্শ দিয়ে থাকে।’

নূর/এম. জামান

আর্কাইভ