• ঢাকা সোমবার
    ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ : সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২১, ০২:৪৩ এএম

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ : সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল বন্ধ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। রোববার ( ডিসেম্বর) জাহাজ বন্ধ থাকবে, সোমবার ( ডিসেম্বর) আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে আবার চলাচল শুরু হবে।

জানা গেছে, দ্বীপে এই মুহূর্তে প্রায় এক হাজার পর্যটক অবস্থান করছেন। জাহাজ বন্ধ থাকায় তাদের সেখানে আরও এক দিন থাকতে হবে।

আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, শনিবার ( ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে। সমুদ্রবন্দরগুলোকে নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১৬ নভেম্বর থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটক পরিবহনের জন্য বিভিন্ন মেয়াদে ছয়টি জাহাজকে অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। জাহাজগুলো হলো- সুকান্ত বাবু, গ্রিন লাইন-, এমভি পারিজাত, এমভি ফারহান-, কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারী ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূর আহমদ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। দ্বীপে অবস্থানরত এক হাজারের বেশি পর্যটক ভালো আছেন। তাদের খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।

টেকনাফের ইউএনও পারভেজ চৌধুরী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ শক্তিশালী হয়ে উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ায় রোববার টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে পরদিন জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেটি আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করবে। সময় দ্বীপে রাত যাপনকারী পর্যটকেরা যেন হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

নূর/এম. জামান

আর্কাইভ