
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২১, ১২:১৬ এএম
এক বছর বয়সী
দৃষ্টিহীন শিশু ফাতেমা আক্তার
নূরী। চোখে সমস্যা নিয়েই
বড় হচ্ছিল শিশুটি। তবে দিন যত
গিয়েছে ততই স্পষ্ট হয়েছে
শিশুটির দৃষ্টিশক্তিহীনতা। তাই তো হোটেল
শ্রমিক বাবা নুর জামাল
নুরু ও মা রতনা
বেগম শুধুই কাঁদছেন। নিজ সন্তানের চোখে
আলো দিতে তারা ঘুরছেন
সমাজের সুহৃদয়বান মানুষের দ্বারে দ্বারে। চাইছেন আর্থিক সহযোগিতা।
জানা
যায়, রংপুরের হারাগাছ পৌর এলাকার ৬নম্বর
ওয়ার্ডের টেপাটারী বানুপাড়া এলাকায় থাকেন নুরু ও রতনা
দম্পতি। নুরু রংপুর নগরীর
একটি হোটেলে শ্রমিকের কাজ করে সংসার
চালান। তাদের পরিবারে উপার্জনক্ষম আর কেউ না
থাকলেও সুখের সংসার ছিল। কিন্তু সেই
সংসারে একমাত্র শিশু নূরীর অন্ধত্বের
কান্না ভাবিয়ে তুলেছে তাদের।
তারা
সাংবাদিকদের বলেন, ‘এক বছর বয়সী
এ শিশুর চোখে অপারেশন করে
কর্ণিয়া সংযোজন করতে হবে। একই
সঙ্গে চিকিৎসাও চালিয়ে যেতে হবে। তা
না হলে অন্ধত্বের অভিশাপ
স্থায়িত্বের পথ নেবে। আর
শিশু নূরীর চোখের অপারেশন ও চিকিৎসার জন্য
অন্তত ৪-৫ লাখ
টাকার প্রয়োজন। তবে এই টাকা
পরিবারের পক্ষে কোনোভাবেই জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে
না।’
রোববার
(৫ ডিসেম্বর) বিকেলে কথা হলে শিশু
নূরীর বাবা নুর জামাল
নুরু মুঠোফোনে সিটি নিউজকে বলেন,
‘ডাক্তার বলেছে আমার ছইলটার অপারেশন
করলে ভালো হয়ে যাবে।
আমি তো গরিব মানুষ,
এত টাকা কই পাব...। বড় লোক
মানুষগুলা একটু সাহায্য করলে
আমার ছইলটা ফির চোখে দেখতে
পাবে। সুস্থ হয়ে যাবে।’
তিনি
আরও বলেন, ‘জন্মের প্রথম দিকে আমরা কিছু
বুঝিনি। পরে চার মাস
পর ছাইলের চোখের দিক তাকেয়া মনে
হইছে অন্য কোনো সমস্যা।
পরে ৩০ হাজার টাকা
বিভিন্নভাবে ঋণ করে প্রথমে
রংপুরে দ্বীপ আই কেয়ারে ডাক্তার
দেখিয়েছি। পরে পপুলার-২
ডাক্তার নিমাই চন্দ্রকে দেখিয়েছি। ওনার পরামর্শে ঢাকায়
ইসলামি চক্ষু হাসপাতালেও নিয়েছি। সবশেষ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তার
জাহিদ স্যারকে দেখিয়েছি। তারা জানিয়েছে নূরীর
দুই চোখের মনি (কর্ণিয়া) জন্ম
থাকি নষ্ট।’
রংপুরের
হারাগাছ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর
মাসুদার রহমান জানান, ‘আমরা পৌরসভা থেকে
সহযোগিতার ব্যবস্থা করতে মেয়রসহ অন্য
কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলব। সেই
সঙ্গে সমাজের বৃত্তবান মানুষেরা যদি এগিয়ে আসে
তবে শিশুটি চোখে আলো ফিরে
পাবে। পরিবারটির মুখে হাসি ফিরবে।’
দৃষ্টিশক্তিহীন
অবুঝ শিশু ফাতেমা আক্তার
নূরীর চোখের অপারেশনে কেউ আর্থিকভাবে সহযোগিতা
করতে চাইলে ০১৭৪৯০২০০১৭ (বিকাশ) নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন।
নূর/ডাকুয়া