• ঢাকা রবিবার
    ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

চুয়াডাঙ্গায় চালু হলো কবুতর ও বিদেশি পাখির হাট

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২২, ০৯:২২ পিএম

চুয়াডাঙ্গায় চালু হলো কবুতর ও বিদেশি পাখির হাট

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

‘ঝুঁকি কম লাভ বেশি শখের বসে কবুতর পুষি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধোধন করা হলো পোষা পাখি ও কবুতরের হাট। শুকবার (৪ নভেম্বর) সকালে এ হাটের উদ্বোধন করা হয়। 

এখন থেকে প্রতি শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার পানের হাটের পাশে এ হাটে বিদেশি পাখিসহ, বিভিন্ন ধরনের দোশ-বিদেশি কবুতর ক্রয় বিক্রয় করা হবে। হোমার, গিরিবাজ, রেসার, পোটার, বিউটি, লক্ষা, মুক্ষি, সিরাজী, বোম্বাই, বোখারা, ফিলব্যাক, কিং, মং, আউল, সার্টিনসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কবুতর ও নানান জাতের বিদেশি পাখির সমারোহে এক মুগ্ধকর পরিবেশ তৈরি হয় প্রথম দিনেই।

আয়োজকরা জানান, প্রথম দিন এ হাটে চুয়াডাঙ্গার ৪৫ জন কবুতর ও পাখি ব্যবসায়ী তাদের কবুতর নিয়ে এ হাটে অংশ নিয়েছেন। অনেক ক্রেতার সাড়া পাওয়া যাচ্ছে প্রথম দিনই। আস্তে আস্তে বেচা কেনা বৃদ্ধি পাবে। মূলত সৌখিন কবুতর পালনকারীদেরকে বাণিজ্যিক খামার গড়তে উৎসাহিত করা এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভবান করার লক্ষ্যে এ হাট চালু করা হলো।

বিদেশি কবুতরের খামারী শামীম আহম্মেদ আরিফ বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গায় এমন একটি হাট আমাদের জন্য খুব প্রয়োজন ছিল। এখানে আমাদের কবুতরগুলো প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিক্রয় করতে পারব এবং সবাইকে কবুতর পালনে উৎসাহিত করতে পারব। যুবকরা যদি কবুতর পালনে এগিয়ে আসে তাহলে তারা অর্থনৈতিকভাবে যেমন লাভবান হতে পারবে তেমনি মাদক ও নেশা থেকেও দূরে থাকবে’।

কবুতর ব্যবসায়ী পিয়াস বলেন, ‘আমাদের আশপাশে ছোট যে সকল কবুতরের হাট আছে তাতে দেশি কবুতর ক্রয় বিক্রয় হয়। বিদেশি কবুতর ও বিদেশি পাখির জন্য এটাই প্রথম হাট’

কবুতর ব্যবসায়ী মাসুক বলেন, ‘আমাদের চুয়াডাঙ্গাতে এ ধরনের কবুতরের হাট ছিল না। যার কারণে আমাদের কবুতর বিক্রি করতে ও ভালো দাম পেতে অনেক সমস্যা হতো। এখন আমরা খুব ভালোভাবে এ হাটে প্রদশর্নির মাধ্যমে কবুতর বিক্রি করতে পারব’।
বার্ডস লাভার চুয়াডাঙ্গার সাধারণ সম্পাদক রবিউল হক রাজা বলেন, ‘আমাদের অনেক দিনের লালিত স্বপ্ন আজ পূরণ হলো। চুয়াডাঙ্গায় এ ধরনের হাটের খুব প্রয়োজন ছিল। আমরা বিদেশি পাখির এবং কবুতরের খামারিরা একত্রে হয়ে এ হাটের আয়োজন করেছি। আশপাশের জেলার খামারিদের সঙ্গেও আমরা যোগাযোগ করছি তারাও খুব শিগগিরই অংশগ্রহণ করবে’।  

বার্ডস লাভার চুয়াডাঙ্গার সভাপতি গোলাম হোসেন বলেন, ‘এই হাট ক্রেতা এবং বিক্রেতার উভয়ের উপকার হবে। আমরা চেষ্টা করব এই হাটটাকে অনেক বড় করার। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা একেএম আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এই হাটের কথা শুনেই সকালে দেখতে এসেছি। কবুতর ও পাখির প্রতি আমার আগ্রহ অনেক বেশি। চুয়াডাঙ্গার জন্য এ ধরনের সখের কবুতরের হাট অনেক উপকারে আসবে। চুয়াডাঙ্গায় মাদকের বিশাল সমস্যা আছে। 

এই ধরনের পোষা পাখি ও কবুতরের দিকে যুব সমাজ আকৃষ্ট হলে তারাও মাদক থেকে অনেক দূরে থাকবে অন্য দিকে এ ধরনের খামার তৈরি করে অর্থনৈতিকভাবেও তারা লাভবান হবে।

এএল/

আর্কাইভ