• ঢাকা মঙ্গলবার
    ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
বুয়েটছাত্র ফারদিন হত্যা মামলা

মেয়ের মুক্তি চেয়ে বুশরার বাবার আকুতি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২১, ২০২২, ০২:৩৪ এএম

মেয়ের মুক্তি চেয়ে বুশরার বাবার আকুতি

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

বুয়েটের শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা আমাতুল্লাহ বুশরার মুক্তি চেয়ে সরকারের কাছে আকুতি জানিয়েছেন বাবা মঞ্জুরুল ইসলাম। সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ শহরের বয়লা এলাকায় নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের নিকট এ দাবি জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমার নির্দোষ মেয়েটাকে ফাঁসানো হচ্ছে। ইতোমধ‌্যে র‌্যাব, ডিবি পুলিশ তদন্তে আমার মেয়ের কোনো সম্পৃক্ততা পায়নি। সরকারের কাছে হাতজোড় করে আবেদন করছি আমার মেয়েটাকে আপনারা মুক্তি দিন। কোর্ট বন্ধ থাকায় আমরা জামিনের আবেদন করতে পারছি না। আমরা বিশেষ আদালতে জামিনের আবেদন করার চেষ্টা করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে সম্প্রতি তার মা দেখা করেছে। বুশরা জানিয়েছে, আমি তো মা কোনো দোষ করিনি, আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। তবে কেন আমাকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে?’

মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গিয়ে ফারদিনের সঙ্গে বুশরার পরিচয়। এর বাইরে তাদের মধ্যে অন্য কোনো সম্পর্ক ছিল না। বুশরার ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা অনিশ্চয়তায় আছি। ফারদিনের মর্মান্তিক মৃত্যুতে দেশবাসীর সঙ্গে আমরাও মর্মাহত। আমি সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি আমার মেয়েটার মুক্তি দিন। নির্দোষ মেয়েটাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সাহায্য করুন। পড়াশোনা চালাতে পারছে না, ক্লাসগুলো মিস হচ্ছে। দয়া করে মুক্তি দিন।’

গত ৪ নভেম্বর নিখোঁজ হন ফারদিন। এর তিন দিন পর ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। তিনি রাজধানীর ডেমরা এলাকায় থাকতেন। ফারদিন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বুশরা এবং অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের নামে ৯ নভেম্বর রাতে রামপুরা থানায় মামলা করেন ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা।

পরদিন সকালে রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেফতার করা হয়। আমাতুল্লাহ বুশরা পড়েন ঢাকার ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে রামপুরার বনশ্রী এলাকায় মেসে থাকতেন।

তদন্তকারী পুলিশ ১০ নভেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের জন‌্য মেয়েটির রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ১৬ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখা থেকে জানানো হয়-বুয়েট ছাত্র ফারদিন মৃত্যু সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং অগ্রগতি পেয়েছে র‍্যাব। এরপরেই ডিবির পক্ষ থেকে আত্মহত্যার খবর জানানো হয়।

এআরআই

আর্কাইভ