• ঢাকা রবিবার
    ০৫ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

জাজিরায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩, ১২:০৩ এএম

জাজিরায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ

ছবি: সংগৃহীত

সিটি নিউজ ডেস্ক

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের জাজিরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বেলা ১১ টার দিকে বিলাসপুর ইউনিয়নের মুলাই বেপারীকান্দি গ্ৰামে বর্তমান চেয়ারম্যান আ: কুদ্দুস বেপারী ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আ: জলিল মাদবরের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত ইউপি নির্বাচন নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান আ: কুদ্দুস বেপারী ও পরাজিত প্রার্থী আ: জলিল মাদবরের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরা দুজনেই ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের সঙ্গে জড়িত। নির্বাচনের পর দুইপক্ষের লোকজন একাধিকবার সংঘর্ষে জড়ায়।


বুধবার সকালে বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মুলাই বেপারীকান্দি হয়ে বুধাইর হাট পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয় পক্ষের সমর্থকরা শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। খবর পেয়ে জাজিরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে সজিব (২২) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। সংঘর্ষে আহত ১০ জনের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত বেশ কয়েকজনকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সাবেক যুবলীগ নেতা এবং পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আ: জলিল মাদবর বলেন, ‘নির্বাচনের পর থেকেই আমার সমর্থকদের বাড়িতে থাকতে দেয়া হচ্ছে না। প্রশাসনের সহযোগিতায় বাড়িতে থাকলেও বিভিন্নভাবে হুমকিদেয়াসহ প্রতিনিয়ত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। বুধবার একইভাবে হামলা চালালে আমার লোকজনও জবাব দিতে বাধ্য হয়।’
চেয়ারম্যান আ: কুদ্দুস বেপারী বলেন, ‘সকালে হঠাৎ আ: জলিল মাদবরের সমর্থকরা আমার বাড়ি ঘেরাও করে হামলা চালালে আমার লোকজন তাদেরকে প্রতিহত করে এবং আমি তাৎক্ষণিক প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করি।’
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সকালে সংঘর্ষের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বিলাসপুরে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়। পুলিশ গুলি ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এই ঘটনায় একটি নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

 

আরিয়ানএস/

আর্কাইভ