• ঢাকা বুধবার
    ০৮ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

দুই গাছের বিয়ে, কয়েক‘শ অতিথি

প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৩, ০৩:১৫ এএম

দুই গাছের বিয়ে, কয়েক‘শ অতিথি

ছবি: সংগৃহীত

পাবনা প্রতিনিধি

হিন্দু সম্প্রদায়ের আয়োজনে বট এবং পাকুড় গাছের বিয়ের ঘটনা ঘটেছে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খালপাট কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানে। গত শুক্রবার (১০ মার্চ) রাতে বটেশ্বরী এবং পাকুড়েশ্বরের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার সমাপ্তি ঘটে প্রীতিভোজের মাধ্যমে।বিয়ের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ খেতে এসেছিলেন কয়েক‘শ অতিথি।

ধর্মীয় গুরু সঙ্গীত কুমার পাল বলেন, ‘শাস্ত্রে বর্ণিত আছে ধর্মবৃক্ষ বট ও পাকুড়ের বিবাহ দর্শন মাত্রই মঙ্গল’- এজন্য তাদের বিয়ের আয়োজন করা হয়। এই বিয়ের অনুষ্ঠানে গায়ে হলুদসহ শাস্ত্র মতে সকল আয়োজন করা হয়। নারায়ণ পূজার মধ্য দিয়ে গত বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। তিনি আরও বলেন, বিয়ের আগে বটের নাম রাখা হয় ‘বটেশ্বরী দেবী’। আর পাকুড়ের নাম হয় ‘পাকুড়েশ্বর’।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মলয় কুমার দেব বলেন, বট-পাকুড়ের বিয়ের অনুষ্ঠানটি এলাকায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। ভক্তরা ইতোমধ্যে সেখানে পূজা-অর্চনাও শুরু করেছেন।

স্থানীয়রা জানায়, ভাঙ্গুড়ার ঐতিহ্যবাহী শ্মশান চত্বরে প্রায় ১৫ বছর আগে পাশাপাশি গাছ দু’টি লাগানো হয়। শাস্ত্র মতে, পাশাপাশি বট-পাকুড় গাছ থাকলে তাদের বিয়ে দিতে হয়। তাই ঘটা করে এ বিয়ের আয়োজন করা হয়। পাকুড় গাছকে মুখোশ, ধূতি, পাঞ্জাবি পরিয়ে বরের বেশ ধারণ করানো হয়। আর পাশের বটগাছটিকে মুখোশ এবং শাড়ি পরিয়ে কনের বেশ ধারণ করানো হয়। বর-কনের জন্য সাজানো হয় বিয়ের আসন। মহাশ্মশান চত্বরে বরযাত্রীদের জন্য টাঙ্গানো হয় বিশাল প্যান্ডেল। বিয়ের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ খেতে এসেছিলেন কয়েক‘শ অতিথি। সবজি-পোলাও, আলুভাজি, ডাল ও পায়েস খাইয়ে আপ্যায়ন করা হয় তাদের। বিয়েতে বটেশ্বরী দেবীর বাবার দায়িত্ব পালন করেন ভাঙ্গুড়া পৌরসভার দক্ষিণ মেন্দাপালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শ্রী সাগর কুমার পাল। পাকুড়ের বাবা হন পুলক কুমার চাকী।

বিয়েতে কেন্দ্রীয় শ্মশান কমিটির সভাপতি সংগীত কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক সমর জিৎ গুণ, প্রচার সম্পাদক বিকাশ কুমার চন্দ, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মলয় কুমার দেব, উপজেলা হিন্দু ঐক্য পরিষদের সভাপতি ভবেশ চন্দ্র দে, হিন্দু নেতা নির্মল রায়, পরেশ চন্দ্র ব্যানার্জী, রনজিত হালদার, উত্তম সূত্রধর ও সুভাষ সূত্রধর উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন পুরোহিত প্রদীপ কুমার গোস্বামী।

 

আর্কাইভ