• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৯ মে, ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধান শিক্ষক হাসপাতালে সহকারী শিক্ষকদের মারধরে

প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৩, ০৬:১৬ পিএম

প্রধান শিক্ষক হাসপাতালে সহকারী শিক্ষকদের মারধরে

ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

ভবন নির্মাণে জটিলতাসহ নানা দ্বন্দ্বের জেরে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় এক প্রধান শিক্ষক আহত হয়েছেন সহকারী শিক্ষকদের মারধরে। এ সময় আহত হয়েছেন তার ছেলে সিনহা ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ফাতেমা বেগম।

গত মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাতে পলাশবাড়ী থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) দিবাকর অধিকারী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন দুপুরে উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের জুনদহ উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীর নাম কামরুল আহসান সোহেল (৫২)। তিনি বরিশাল ইউনিয়নের জুনদহ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নতুন চারতলা ভবন নির্মাণের উদ্দেশ্যে গত বছরের নভেম্বরে স্কুলের পুরাতন টিনশেড ভবন ভেঙে ফেলা হয়। জমির সীমানা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হলে প্রতিবেশী জমির মালিকের অভিযোগে সেখানে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন সম্ভব হয়নি। বর্তমানে টিনের ছাপরা ঘর তৈরি করে প্রখর রোদের মধ্যেই পাঠদান চলছে। সম্প্রতি পাশের জমির মালিক স্কুলের টয়লেটে যাতায়াতের রাস্তাটি বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন। এ নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়।

এদিকে বিদ্যালয়ের এসব সমস্যা সমাধানে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সহকারী শিক্ষক রিজেন, মুক্তার, কাওছার মোখছার, নাঈমসহ অন্যান্যদের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক সোহেল ধাক্কা-মারধরের শিকার হন। সংবাদ পেয়ে তার ছেলে সিনহা ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ফাতেমা বাধা দিতে গেলে তারাও আহত হন। পরে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

আহত প্রধান শিক্ষক কামরুল আহসান সোহেল জানান, ‘স্কুলের নানা সমস্যাসহ বর্তমান পরিস্থিতি সবার জানা। এসব নিয়ে সহকারী শিক্ষকরা ক্ষুব্ধ। মঙ্গলবার বিদ্যালয় চলাকালে হঠাৎ সহকারী শিক্ষকরা একজোট হয়ে মারমুখী হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে তারা আমাকে মারধর করে আহত করেন। ঘটনার সময় বাধা দিলে তারা আমার ছেলে ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকেও মারধর করেন।’

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষকরা। তাদের মধ্যে সহকারী শিক্ষক মুক্তার হোসেন জানান, স্কুলে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে মতবিরোধ চলছিলে। এর জের ধরে প্রধান শিক্ষকের পরিবারের সদস্যরাই বিদ্যালয়ে এসে তাদের ওপর হামলা চালান। আর প্রধান শিক্ষক রেগে গিয়ে টেবিলে জোরে থাবা দিলে কাঁচ ভেঙে তার হাত কেটে যায়।

পলাশবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহাতাব হোসেন জানান, মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করা হয়। এ সময় শিক্ষক ও স্থানীয়দের কাছে ঘটনার বিষয় জানা হয়। শিক্ষকদের উভয়পক্ষ একে-অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছেন। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে পলাশবাড়ী থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) দিবাকর অধিকারী জানান, মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আর্কাইভ