
প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২৫, ০৯:৪৬ পিএম
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ছাত্র-জনতার স্মরণে ফরিদপুরে মৌন মিছিল ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৮ জুলাই) ফরিদপুর জেলা বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনসমূহ কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
শুক্রবার দুপুরে ফরিদপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পরিদর্শন শেষে জনতা ব্যাংক মোড়ে এসে মৌন মিছিলটি শেষ হয়। এরপর জুমার নামাজের পর চকবাজার জামে মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মৌন মিছিল ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেন ফরিদপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, দেলোয়ার হোসেন দিলা, টুলু খন্দকার , জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি কে এম জাফরসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা শহীদদের আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
অপরদিকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে ফরিদপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে মৌন মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিসের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জনতা ব্যাংকের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলে নেতৃত্ব দেন মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এএফএম কাইয়ুম জঙ্গী, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একেএম কিবরিয়া স্বপন, যুগ্ম আহ্বায়ক আজম খান, অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভুঁইয়া রতন, রুবেল হোসেন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, কোতোয়ালী থানা বিএনপি`র সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান চৌধুরী রঞ্জন, জেলা কৃষক দলের সভাপতি রেজাউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাহরিয়ার শিথিল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন অনু, মহানগর বিএনপির সদস্য নুরুজ্জামান চৌধুরী পংকজ, মিনার হোসেন সহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
মৌন মিছিল পূর্ব সমাবেশে মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ বলেন, নতুন নেতৃত্ব বাংলাদেশে আবিভূত হচ্ছে দেখতে পাচ্ছি। আপনাদের বিষয়ে আমরা শুধু এটুকুই বলতে চাই, আপনারা একমাস পাঁচ দিন আন্দোলন করেছেন। আর বিএনপি দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছে ১৭ বছর। আপনারা তো এক মাস পাঁচ দিন পরেই সরকারে চলে গেছেন। আপনারা দেখে বুঝতে পারেন নাই যে, বিরোধী দলে থেকে সরকারের রোষানল কত কঠিন বিষয়।