
প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২৫, ১০:৫৭ এএম
কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নীলফামারীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী (পানি শাখা) তহিদুল ইসলাম জানান, কয়েক দিনের লাগাতার বৃষ্টিপাত ও ঢলের কারণে পানি বেড়েছে। ইতোমধ্যে চর ও নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যার মধ্যে পানি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খগাগড়িবাড়ী, খালিশা চাপানি, পূর্ব ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ী, ঝুনাগাছ চাপানী, গড়াবাড়ী এবং জলঢাকার গোলমুন্ডা, শেলাইমারী ও কৈইমারী ইউনিয়নের নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার মানুষ বন্যার শঙ্কায় রয়েছে।
পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান জানান, সবচেয়ে বড় চরগ্রাম ঝাড়সিংশ্বরসহ কয়েকটি চর এলাকায় পানি ঢুকেছে। অনেক ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ভয়াবহ হচ্ছে।
তিস্তার পানি বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা ও কালিগঞ্জ উপজেলাতেও। এসব এলাকার নদীবেষ্টিত চর ও গ্রামগুলোতে হাঁটুসমান পানি উঠেছে। অনেকেই গবাদিপশু ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে উঁচু স্থানে সরে যাচ্ছেন।
ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সারাদিন পানি বিপৎসীমার নিচে ছিল। কিন্তু বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল থেকে তা ৪-৭ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়। মধ্যরাতে এটি ৩ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে। পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকায় ব্যারাজের সব স্লুইসগেট খুলে দেওয়া হয়েছে।