• ঢাকা বুধবার
    ২২ মে, ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

নির্যাতিত গৃহবধূকে হাসপাতালে ভর্তি করল পুলিশ

প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২১, ০৬:২৪ এএম

নির্যাতিত গৃহবধূকে হাসপাতালে ভর্তি করল পুলিশ

দেশজুড়ে ডেস্ক

স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতনে আহত এক গৃহবধূকে জামাই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকেলে পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের কুমারগাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের উপস্থিতি দেখে ওই গৃহবধূর স্বামী জনি ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে যান। অভিযুক্ত জনি কুমারগাড়া গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, দুই বছরেরও কম সময় হলো জনির সঙ্গে ভুক্তভোগীর বিয়ে হয়। তাদের ছয়মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, জনি বাজে প্রকৃতির এবং এর আগেও তিনি একাধিক বিয়ে করেছিলেন। ভুক্তভোগীকে বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই যৌতুক দাবিসহ নানা ছুতোয় তার ওপর নির্যাতন শুরু করেন জনি। সম্প্রতি নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়।

চাটমোহর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মমিনুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) ওই গৃহবধূকে বেধরক মারধর করেন জনি। এ ঘটনা জানার পর ভুক্তভোগীর বাবাসহ তার স্বজনরা শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকেলে কুমারগাড়া গ্রামে আসেন। কিন্তু জনি ও তার পরিবারের সদস্যরা তাদের নানারকম হুমকি দিতে থাকেন। তাদের বাড়িতে ঢুকতে না দিয়ে দেশীয় কিছু অস্ত্র হাতে নিয়ে তাদের তাড়া করেন। এতে গৃহবধূর বাবাসহ অন্যরা ভয়ে পালিয়ে গিয়ে অন্য বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে ভুক্তভোগীর বাবা বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চাটমোহর থানায় জানান।

এসআই মমিনুর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূকে উদ্ধার করে। এ সময় ভুক্তভোগী তার ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দেন। মারধর করার পর গৃহবধূ শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু শ্বশুর বাড়ির লোকজন বাইরে বের হতে দেননি। এমনকি তার কাছে যেন কোনো টাকা না থাকে এজন্য কান থেকে দুল পর্যন্ত টান দিয়ে ছিঁড়ে নেয়। এ সময় তার কানের লতি ছিঁড়ে যায়।

 পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি তল্লাশি করে চাপাতি, ছুরি, রামদা, হাসুয়াসহ কিছু দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।

 চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। মেয়েটি নির্যাতন সইতে না পেরে পালানোর চেষ্টাও করে। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করেছে। অভিযুক্ত জনির বাড়ি থেকে কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

তরিকুল

 

আর্কাইভ