• ঢাকা সোমবার
    ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বাকরখানি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৭, ২০২২, ১০:৪৯ পিএম

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বাকরখানি

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বাকরখানি

ফিচার ডেস্ক

পুরান ঢাকার খাবারের সুনাম সর্বজনবিদিত। আদিকাল থেকেই পুরান ঢাকাবাসী ছিল খাদ্যরসিক এবং ভোজনবিলাসী। এখানকার ঐতিহ্যবাহী খাবারের নাম এখনও লোকমুখে শোনা যায়। এর মধ্যে অন্যতম বাকরখানি। ঐতিহ্যবাহী বাকরখানি আজো তার সুনাম-সুখ্যাতি ধরে রেখেছে। আর এর প্রচলন পুরান ঢাকায় এখনও সর্বাধিক।

আরও পড়ুনঃ নবান্নের সুঘ্রাণ

একসময় ঢাকাবাসীর প্রধান খাবার ছিল রুটি। সকাল ও রাত দুই বেলাতেই শিরমাল, চাপাতি, নান, বোগদাদি, কাকচা, ফুলচা, নানকাতিয়া, বাকরখানি ইত্যাদি রুটি খেত। বাকরখানি ছিল এক নম্বরে। ঢাকার বাকরখানি সারাদেশে সর্বাধিক প্রসিদ্ধ ছিল। তখন উপঢৌকন হিসেবে এ রুটি পাঠানো হতো ভারত উপমহাদেশের নানা অঞ্চলে। বর্তমানেও বাকরখানির কদর একটুও কমেনি, বরং বেড়েছে।

এগিয়ে চলো | বাংলাদেশের টাইমলাইন

পঞ্চাশের দশক থেকে বাকরখানির চাহিদা এবং জনপ্রিয়তা যেমন ছিল এখনও ঠিক তেমনই আছে, একটুও কমেনি। এখনকার নতুন প্রজন্মের এসব দোকানগুলোতে বিভিন্ন আকৃতি ও স্বাদের বাকরখানি পাওয়া যায়। সাধারণ বাকরখানি তৈরি হয় তিন রকমের- মিষ্টি,  খাস্তা ও মোলাম।

এগুলোর মধ্যে রয়েছে নারিকেল বাকরখানি, ঘিয়ের বাকরখানি, কাবাব বাকরখানি, চিনি বাকরখানি, ছানা বাকরখানি, নোনতা বাকরখানি, পনির বাকরখানি, মাংসের বাকরখানি, খাস্তা বাকরখানি অন্যতম। সাধারণ বাকরখানির প্রতিটির দাম দুই টাকা থেকে চার টাকা হলেও কাবাব, পনির বা মাংসে বানানো এ খাবারের দাম একটু বেশি। আগে ঢাকার বনেদি পরিবার নিজেদের বাড়িতেই বাকরখানি তৈরির আয়োজন ও কারিগর রাখত।

পুরান ঢাকার বাকরখানি | Karu Kuthir

বাকরখানি ময়দা দিয়ে তৈরি রুটি জাতীয় খাবার বিশেষ। এটি বাংলাদেশের পুরান ঢাকাবাসীদের সকালের নাস্তা হিসাবে একটি অতি প্রিয় খাবার। ময়দার খামির থেকে রুটি বানিয়ে তা মচমচে বা খাস্তা করে ভেজে বাকরখানি তৈরি করা হয়। ছোট-বড় বিভিন্ন আকারের বাকরখানি পাওয়া যায় পুরান ঢাকায়। বাকরখানিতে সাধারণত ময়দার সঙ্গে স্বাদবর্ধক আর কিছু দেয়া হয় না।

আরও পড়ুনঃ কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী রসমালাই

জানা যায়, চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাকরখানি রসালো ও সুমিষ্ট। জনশ্রুতি অনুসারে, জমিদার আগা বাকের তথা আগা বাকির খাঁর নামানুসারে এই রুটির নামকরণ করা হয়েছে।

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ডালরুটি খেয়েছেন কখনো?

পুরান ঢাকার চকবাজার, আমলিগোলা, নাজিরাবাজার, বংশাল, ইসলামবাগ, হাজারীবাগ, আবুল হাসনাত রোড, সিদ্দিকবাজার, বনগ্রাম, লক্ষ্মীবাজার, সূত্রাপুর, একরামপুর, নারিন্দা, দয়াগঞ্জ, গেন্ডারিয়াসহ প্রায় সব এলাকায় রয়েছে বাকরখানির দোকান। তবে চানখাঁরপুলের নাজিমুদ্দিন সড়কের দোকানগুলোর বাকরখানিই মোড়কজাত করে রাজধানীর অভিজাত এলাকা ধানমন্ডি, উত্তরা, বনানী, মিরপুর, গুলশানের ডিপার্টমেন্ট স্টোরে সরবরাহ করা হয়।

 

 সাজেদ/এএল

আর্কাইভ