প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১, ০৩:৫৯ পিএম
চীনে আবার করোনাভাইরাসের
প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই
করোনায় আক্রান্ত নতুন নতুন রোগী
শনাক্ত হচ্ছে। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ফুজিয়ান প্রদেশের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়
থেকে ভাইরাসের এই সংক্রমণ দ্রুতগতিতে
ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক
প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী- ফুজিয়ান প্রদেশের ওই প্রাইমারি স্কুলের
এক শিক্ষার্থীর বাবার কাছ থেকে করোনাভাইরাস
ছড়িয়ে থাকতে পারে। গত সপ্তাহে তিনি
করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত হন।
এদিকে
গত চারদিনে শতাধিক করোনা রোগী শনাক্তের পর
ফুজিয়ানের সকল শিক্ষক ও
শিক্ষার্থীকে এক সপ্তাহের মধ্যে
বাধ্যতামূলকভাবে করোনা পরীক্ষা করাতে নির্দেশ দিয়েছে প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ।
বিবিসি
জানিয়েছে, ফুজিয়ান প্রদেশের পুতিয়ান শহরটি করোনায় চীনের অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত শহর হতে চলেছে।
শহরটিতে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ
বসবাস করেন। সেখানকার একটি প্রাইমারি স্কুল
থেকেই প্রাথমিকভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে।
চীনের
রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, ওই স্কুলের এক
শিক্ষার্থীর বাবার শরীরে গত ১০ সেপ্টেম্বর
করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত ৪
আগস্ট সিঙ্গাপুর থেকে তিনি দেশে
ফিরে এসেছিলেন। পরে ২১ দিনের
কোয়ারেন্টাইনেও ছিলেন তিনি। এই সময়ের মধ্যে
তিনি ৯ বার করোনা
পরীক্ষা করান এবং প্রতিবারই
ফলাফল ছিল নেগেটিভ। তবে
দেশে ফেরার ৩৮ দিনের মাথায়
তার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।
যদিও
করোনা ছড়িয়ে পড়ার মূল কারণ
ওই শিক্ষার্থীর বাবাই কিনা বা বিদেশে
তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন কিনা, সেটি এখনও পরিষ্কার
নয়। কারণ দীর্ঘ সময়
ধরে কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরও ভাইরাসের ছড়িয়ে
পড়ার ঘটনাটি অদ্ভুত।
অবশ্য,
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ
নিয়েছেন চীনের কর্মকর্তারা। পুতিয়ান শহরের সকল স্কুল বন্ধ
ঘোষণা করা হয়েছে এবং
শহরের বাইরে যেতে হলে সর্বশেষ
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির করোনার নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক করা
হয়েছে।
এছাড়া
সিনেমা হল, জাদুঘর ও
লাইব্রেরি-সহ গণজমায়েত হয়
এমন স্থানগুলোকে ঘরোয়া কর্মকাণ্ড স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে এবং
রেস্টুরেন্টগুলোকে স্বল্প সময়ের জন্য খোলা রাখার
অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
পুতিয়ানের
পার্শ্ববর্তী শহর জিয়ামেন ও
কুয়াঙঝৌতেও এর প্রভাব পড়েছে।
জিয়ামেন শহরে জিমনেশিয়াম ও
বার বন্ধ করে দেওয়া
হয়েছে।
গ্লোবাল
টাইমস জানিয়েছে, সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জিয়ামেন
শহরে ৩২ জন নতুন
করোনা রোগী শনাক্ত করা
হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই পুতিয়ান শহর থেকে ফিরে
এসেছেন। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী- আক্রান্তদের
সবাই করোনার অতিসংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত বলেও জানিয়েছে গ্লোবাল
টাইমস।
শামীম/ডাকুয়া