• ঢাকা মঙ্গলবার
    ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তিন দেশ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩, ০৪:৩৩ পিএম

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তিন দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জাপানে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে দেশটির উপকূলীয় শহর কুশিরো ও নেমুরোক। তবে কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ও জাপানের আবহাওয়া দফতর এ তথ্য জানিয়েছে।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) আঘাত হানা এ ভূমিকম্পে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পটি ওইদিন রাত ১০টা ২৭ মিনিটে আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ৪৩ কিলোমিটার।

এদিকে, আজ রোববার পাপুয়া নিউগিনির নিউ ব্রিটেন অঞ্চলে ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। এ ভূমিকম্পেও সর্বশেষ কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

পাপুয়া নিউগিনির নিউ ব্রিটেন অঞ্চলে ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্স।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) হওয়া ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ৬৫ কিলোমিটার। এখনও গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি বা আঘাতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

এর আগে, গতকাল শনিবার তুরস্কের আনাতোলিয়ান প্রদেশে আবারও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ৫ দশমিক ৩ মাত্রার এই ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ৭ কিলোমিটার।

একইদিন জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় হোক্কাইডো দ্বীপেও শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। হোক্কাইডো দ্বীপের পূর্ব অংশ রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে।

তুরস্ক ও সিরিয়ায় সংঘটিত ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর পেরিয়ে গেছে ২০ দিন। শেষ হয়েছে উদ্ধার তৎপরতা। এই অবস্থায় ভবন নির্মাণে ত্রুটি থাকার অভিযোগে তুরস্কে ৬ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে তুরস্ক সরকার।

তুরস্কের আদিয়ামানের একটি গ্রামে ভূমিকম্পে নিজেদের বিধ্বস্ত ভবনের পাশে দাঁড়িয়ে দুই নারী। 

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের দিয়ারবাকির থেকে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে দেশটির বিচার বিষয়ক মন্ত্রী বাকির বুজদাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর আল-জাজিরার।


গত ৬ ফেব্রুয়ারি দুদফায় ৭.৮ এবং ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে দক্ষিণ তুরস্কে ৪৪ হাজার জনেরও বেশি এবং উত্তর সিরিয়ায় সাড়ে ৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভূমিকম্পের পর দক্ষিণ তুরস্কজুড়ে ধসেপড়া কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ১ লাখ ৭৩ হাজার ভবনের নির্মাণকাজের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে।

তুরস্কের কর্তৃপক্ষ অভিযোগ এনেছে, ভবন নির্মাণে ত্রুটি থাকায় ভূমিকম্পে ভবনগুলো দ্রুত ধসে পড়েছে। 


বিচার বিষয়ক মন্ত্রী বাকির বুজদাগ জানিয়েছেন, মামলার আসামি ৬১২ জনের মধ্যে ১৮৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে এরই মধ্যে সাজা দেয়া হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে মামলা চলমান। আসামিদের মধ্যে রয়েছে নির্মাণ ঠিকাদার, ভবন মালিক এবং পরিচালকরা। তিনি বলেন, ‘ধসে পড়া ভবনগুলোতে উল্লিখিতদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ খোঁজার জন তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।’

এদিকে, বিরোধী দলগুলো প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিল্ডিং নীতিমালা বাস্তবায়নে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছে।

আর্কাইভ