• ঢাকা শুক্রবার
    ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

অসুস্থ পোপ ফ্রান্সিসের শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমন বেড়েছে

প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৩, ১০:৩০ পিএম

অসুস্থ পোপ ফ্রান্সিসের শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমন বেড়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পোপ ফ্রান্সিসের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ রয়েছে, তাকে রোমের জেমিলি হাসপাতালে কয়েক দিন কাটাতে হবে বলে জানিয়েছে ভ্যাটিকান। একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৮৬ বছর বয়সী পোপ সাম্প্রতিক দিনগুলিতে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছেন।

তবে তিনি কোভিডে আক্রান্ত নন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিসকে কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হবে। যারা তার দীর্ঘ জীবনের জন্য প্রার্থনা করছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন পোপ। পোপ ফ্রান্সিসের জন্য এটি বছরের সবচেয়ে ব্যস্ত সময়। কারণ দরজায় কড়া নাড়ছে ইস্টার। তাই উইকএন্ডের আগে অনেক ইভেন্ট এবং পরিষেবা তাকে ঘিরেই নির্ধারিত করা রয়েছে। এপ্রিলের শেষে তার হাঙ্গেরি সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। বুধবার সকালে সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে সাধারণ দর্শকদের উদ্দেশে সাপ্তাহিক ভাষণ রাখেন পোপ ফ্রান্সিস।

প্রথমে শরীর ভালো থাকলেও পরে তিনি অসুস্থবোধ করায় তাকে গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ভ্যাটিকান প্রাথমিকভাবে বলেছিল যে, পোপ পূর্ব নির্ধারিত চেক-আপের জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন, কিন্তু একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকার স্বল্প নোটিশে বাতিল হওয়ার পরে ইতালীয় মিডিয়া বিষয়টি নিয়ে নিয়ে প্রশ্ন তোলে । রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন খবরটি পাবার পর পোপের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করেছেন। বাইডেন দ্বিতীয় রোমান ক্যাথলিক যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। 

তিনি বলেছেন ‘আমি পোপের মধ্যে খ্রিস্টের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই।’ আর্জেন্টিনায়  পোপের নিজ শহর বুয়েনস আইরেসের লোকেরা তাদের গভীর উদ্বেগ রয়টার্সের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। ব্রাজিলের নাগরিক ভিক্টোরিয়া ভেরা বলেছেন ‘এটি খুবই দুঃখজনক কারণ একজন লাতিন আমেরিকান হিসাবে আমি এই পোপের প্রতিনিধিত্ব করি, যিনি খুব খোলা মনের একজন মানুষ ‘ অ্যানিবাল পিজেল, যিনি বুয়েনস আইরেসের বিশপ থাকাকালীন পোপের সাথে দেখা করেছিলেন, তিনি বলছেন  ফ্রান্সিস ‘শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্তিশালী’ তাই এই দুঃসময় তিনি দ্রুত কাটিয়ে উঠবেন। 

পোপ তার হাঁটুর সমস্যার কারণে এখন হুইলচেয়ার ব্যবহার করছেন। কোলনে সমস্যার কারণে ২০২১ সালে  তার দেহে অস্ত্রোপচারও হয়। অসুস্থতা সত্ত্বেও, পোপ এখনো যথেষ্ট  সক্রিয়। বিদেশে ভ্রমণ করেছেন। ফেব্রুয়ারিতে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো এবং দক্ষিণ সুদানে সফর করেন। জানুয়ারিতে, পোপ তার পূর্বসূরি পোপ ষোড়শ বেনেডিক্টের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ষোড়শ বেনেডিক্ট স্বেচ্ছায় পদত্যাগকারী প্রথম পোপ ছিলেন।

অসুস্থতার কারণে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নেন। পোপ ফ্রান্সিস এর আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে তার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তিনিও বেনেডিক্টের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারেন।


এএল/

আর্কাইভ