• ঢাকা মঙ্গলবার
    ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

বাড়ির ছাদে এই ব্যবসা করে বিশাল লাভ করছেন ব্যক্তি, চেষ্টা করতে পারেন আপনিও

প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২৩, ০১:৫২ এএম

বাড়ির ছাদে এই ব্যবসা করে বিশাল লাভ করছেন ব্যক্তি, চেষ্টা করতে পারেন আপনিও

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

রুফটপ সুইমিং পুল এখন খুব কেতাদুরস্ত অথচ, প্রচলিত বিষয়। অনেক ক্ষমতাবান ব্যক্তির বাড়ির ছাদেই পাওয়া যাবে এমন বিলাস ব্যবস্থা। কিন্তু এই বিষয়টিকে অন্য ভাবে কাজে লাগিয়ে যে রোজগারের পথ করে ফেলা যায়, তা অনেকেই জানেন না। যাঁদের বাড়ির ছাদে জলাশয় করার উপযুক্ত ব্যবস্থা রয়েছে তাঁরা অনায়াসেই এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।

সেই পথে এগিয়ে দৃষ্টান্ত গড়ে ফেলেছে অসম। রাজ্যের অনেক বাসিন্দাই মাছের ব্যবসা করে স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করছেন। বিশেষত সেই সব মাছ চাষ করতে চাইছেন যা স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত হয়।

কংক্রিটের শহর গুয়াহাটিতে এই ভাবে মাছের চাষ করা নিয়ে প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ তৈরিও হয়েছিল। কিন্তু উৎসাহী বেশ কিছু মানুষ একে সত্যি করে দেখিয়ে দিয়েছেন।

গুয়াহাটির বেশ কিছু বাড়িতে এখন মাছ চাষ চলছে। শহরবাসীদের মধ্যে অনেকেই মাছ চাষ করে আয়ের পথ খুঁজছেন। তাঁরা বেশির ভাগই ঘরে বসে দেশীয় মাছ উৎপাদনের চেষ্টা করছেন। বহুতল ভবনের ছাদে জলাশয় তৈরি করেই চলছে মাছ চাষ প্রকল্প।

এমনই এক সফল মাছচাষি গুয়াহাটির হাতিগাঁও এলাকার বাসিন্দা ড. অমরজ্যোতি কাশ্যপ। তিনি তাঁর বাড়ির ছাদে একটি কংক্রিটের পুকুর তৈরি করেছেন। সেখানেই দেশীয় মাছের পোনা চাষ করা হচ্ছে। শুধু মাছ চাষই নয়। ওই কৃত্রিম পুকুরে অমরজ্যোতি চাষ করেছেন পদ্মও। ফলে ওই কৃত্রিম পুকুরের সৌন্দর্য বেড়েছে অনেকখানি। নিজের বাড়ির ছাদে বাগানের পাশাপাশি এই ভাবে মাছ চাষের ব্যবস্থা করার মধ্যে একটা অন্য আনন্দও রয়েছে, বলছেন অমরজ্যোতি।

তাছাড়া, গুয়াহাটি শহরে দেশীয় মাছের অভাব রয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী জোগান দিতে পারেন না ব্যবসায়ীরা। উজান বাজারে বহু মৎস্যজীবী রয়েছেন যাঁরা ব্রহ্মপুত্রে মাছ ধরে বিক্রি করেন। তবে তাতেও শহরবাসীর চাহিদা অনুযায়ী জোগান দেওয়া যায় না। তাতে মাছের দাম বাড়ে। সাধারণ নাগরিকের কাছে মাছ অনেক সময়ই চলে যায় ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।

তাই এমন একটা পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে খানিকটা সুরাহা যে হতেই পারে তা আন্দাজ করা যায়।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ