• ঢাকা মঙ্গলবার
    ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

কৌতুহলের বশে খুন করলেন কোরিয়ান তরুণী

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৩, ১১:০৬ পিএম

কৌতুহলের বশে খুন করলেন কোরিয়ান তরুণী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

দীর্ঘদিন ধরে টিভিতে ক্রাইম শো দেখতেন জুং-ইয়ো-জুং নামে এক তরুণী। বইও পড়তেন থ্রিলারধর্মী। এ থেকেই অপরাধে আসক্ত হয়ে পড়েন দক্ষিণ কোরিয়ার এ তরুণী। আর আসক্তি থেকে কৌতুহলের বশে সত্যি সত্যিই হত্যা করে বসেন এক নারীকে।

গত শুক্রবার (২ জুন) এই লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে দক্ষিণ কোরিয়ায়। খবর এনডিটিভির।

পুলিশ জানিয়েছে, কৌতুহলের বশবর্তী হয়ে জুং এক নারীকে হত্যা করে। টিভিতে বিভিন্ন ক্রাইম শো দেখে এবং বই পড়ে তিনি অপরাধের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন। আর এ থেকেই তিনি সব সময় নিজ হাতে খুনের অভিজ্ঞতা নিতে চাইতেন। এ কারণেই তিনি হত্যা করেন। হত্যার পর ওই নারীকে কয়েক টুকরোও করেন তিনি। 

‍দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম চোসুন ইলবোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  ২৩ বছর বয়সী জুং তার অপরাধ স্বীকার করেছেন। যিদিও প্রথমে তিনি বলেন যে, নিহত ওই নারীর সঙ্গে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে তাকে হত্যা করেন তিনি। কিন্তু পরে তিনি তার এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেন।

পুলিশ আরও জানায়, হত্যার কয়েক মাস আগে থেকেই তিনি এর পরিকল্পনা করেন। তদন্তে দেখা গেছে, ঘটনার তিন মাস আগে থেকেই জুং ইন্টারনেটে মৃতদেহ লুকানোর উপায় সম্পর্কে  অসংখ্যবার সার্চ করেছিলেন। এছাড়া তিনি  টিভিতে বিভিন্ন ক্রাইম শো দেখেছেন একইসঙ্গে লাইব্রেরি থেকে বিভিন্ন থ্রিলারধর্মী বইও ধার নিয়ে এসেছেন।
 


এরপর জুং নবম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীর মা সেজে প্রাইভেট টিউটর খোঁজার গ্রপে যুক্ত হন এবং হত্যাকাণ্ডের শিকার ওই নারীকে জানান যে, তার মেয়ে ওই নারীর বাসায় পড়তে যাবে।

ঘটনার দিন শিক্ষার্থীর ছদ্মবেশে জুং ওই নারীর বাসায় যান এবং তাকে নির্মমভাবে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। এরপর তিনি লাশটিকে কয়েক টুকরো করে একটি স্যুটকেসে ভরে নদীর ধারে একটি জঙ্গলে ফেলে দেন। এছাড়া তিনি নিহতের মোবাইল ফোন, আইডি কার্ড এবং ওয়ালেট লুকিয়ে ফেলেন।

স্যুটেকেসে ভরে লাশ জঙ্গলে ফেলার সময়  ট্যাক্সি ড্রাইভারের জুংকে সন্দেহ হয় এবং তিনি পুলিশকে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
 
পুলিশ জানায়, এই ঘটনার জন্য জুং দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি সুস্থ-স্বাভাবিক কিনা তা জানার জন্য আমরা তার মেডিক্যাল পরীক্ষা করবো। জুং দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে একাকী বেকার জীবন অতিবহিত করছিলেন।


এডিএস/

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ