• ঢাকা বুধবার
    ০৮ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বের যে দেশে প্রবীণ নাগরিকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩, ০৮:০৬ পিএম

বিশ্বের যে দেশে প্রবীণ নাগরিকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বর্তমানে জাপানের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশই প্রবীণ। আর প্রতি ১০ জনের একজনের বয়স ৮০ বছর বা তারও বেশি। এ কারণে জাপানকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর দেশের তকমা দিয়েছে জাতিসংঘ।

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) জাপানের স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় প্রবীণদের এই হিসাব প্রকাশ করেছে। খবর বিবিসি’র।

জাপানে প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সোমবার ‘প্রবীণদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন দিবস’ পালন করা হয়। এবার দিবসটির আগের দিন প্রকাশ করা হয়েছে প্রবীণদের এ তালিকা। দেশটিতে ৬৫ বা এর বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীকে প্রবীণ হিসেবে গণ্য করা হয়।

তালিকা থেকে জানা যায়, জাপানের মোট জনসংখ্যা ১২ কোটি ৪৬ লাখ। আর ৬৫ বা এর বেশি বয়সী আছেন ৩ কোটি ৬২ লাখ ৩০ হাজার, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ২৯ দশমিক ১ শতাংশ। হিসাব বলছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রবীণদের সংখ্যা ২ লাখ ৭০ হাজার বেড়েছে।

জাপানকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর দেশ উল্লেখ করে জাতিসংঘ বলছে, ৬৫ বছরের বেশি নাগরিকের দেশের তালিকায় জাপান শীর্ষে। এর পরের অবস্থানে রয়েছে ইতালি ও ফিনল্যান্ড।

বিশ্বের সর্বনিম্ন জন্মহারের দেশগুলোর মধ্যে জাপান একটি। এছাড়াও বর্ধিত প্রবীণ জনগোষ্ঠী নিয়ে কী করা যায়, তা নিয়েও দীর্ঘদিন ধরে অনিশ্চিয়তায় আছে দেশটি ৷ প্রবীণদের চিকিৎসা, পেনশন ও সামাজিক কল্যাণ ব্যয়ে মোটা অংক গুনতে হচ্ছে দেশটির সরকারকে। এ সমস্যা কিছুটা লাঘব করতে জাপান তাদের বয়স্ক ভাতাপ্রাপ্তির বয়স ৬০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৫ করেছে।

দেশটিতে প্রবীণদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশজুড়ে শ্রমের ঘাটতিও দেখা দিয়েছে। দেখা গেছে, জাতীয় কর্মশক্তির ১৩ শতাংশেরও বেশি এখন প্রবীণরা যোগান দিয়ে থাকেন। তবে তা জাপানের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যয়ের বোঝা খুব একটা কমাতে পারছে না। আর এ ধাক্কা সামলাতে দেশটি আগামী অর্থবছরের জন্য রেকর্ড বাজেট অনুমোদন করেছে।

আর জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় ও জাপানের কুখ্যাত দীর্ঘ কর্মঘণ্টার মাঝে জন্মহার বৃদ্ধিতেও তেমন সাফল্য দেখা যাচ্ছে না। বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশটিতে গত বছর ৮ লাখেরও কম শিশু জন্ম নিয়েছে। সত্তরের দশকেও এ সংখ্যা ছিল ২০ লাখের বেশি।

জাপানের প্রতিবেশী দেশসহ অনেক দেশেই জন্মহার কমছে, কিন্তু জাপানে সমস্যাটি তীব্র আকার ধারণ করেছে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছিলেন, ক্রমহ্রাসমান জন্মহারের কারণে জাপান একটি সমাজ হিসেবে পিছিয়ে পড়ছে।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

আর্কাইভ