
প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২৫, ১১:৩২ এএম
দীর্ঘ ২১ মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের ভয়ংকর আগ্রাসনের শিকার গাজাবাসী। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামাসকে উৎখাত আর তাদের কবল থেকে জিম্মি উদ্ধারের নামে ইসরায়েলের নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চলছেই। ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার হামলায় প্রতিদিনই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে লাশের মিছিল। একদিকে আকাশ ও স্থল অভিযান, অন্যদিকে দুর্ভিক্ষ; গাজা যেন সাক্ষাৎ নরক হয়ে উঠেছে তার বাসিন্দাদের জন্য।
এরই মধ্যে গাজাবাসীর জন্য স্বস্তির বার্তা হয়ে এসেছিল ‘মানবিক বিরতি’র খবর। গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে কিছু এলাকায় প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা হামলায় ‘বিরতি’ দেওয়ার ঘোষণা দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। কিন্তু, এই ঘোষণা কার্যকরের মধ্যেও গাজাজুড়ে হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৬৩ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা।
সোমবার (২৮ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় সময় রোববার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মধ্য ও উত্তর গাজার আল-মাওয়াসি, দেইর এল-বালাহ এবং গাজা সিটিতে সামরিক তৎপরতা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখবে। তারা সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টার মধ্যে খাদ্য ও চিকিৎসা কনভয়ের জন্য নির্ধারিত সাহায্য করিডোর খোলা রাখার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে।
কিন্তু ‘মানবিক বিরতির’ প্রথম দিনের কয়েক ঘন্টা পার হতেই আবারও বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দেইর এল-বালাহ থেকে আল জাজিরার হিন্দ খোদারি জানিয়েছেন, গাজা সিটিতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে এবং এটি এমন একটি এলাকা যাকে নিরাপদ এলাকা হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল এবং সেখানে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের সামরিক অভিযান বন্ধ করতে চলেছে।
ওই এলাকার ফিলিস্তিনিরা জানিয়েছে, একটি বেকারিকে টার্গেট করে এই হামলা চালানো হয়েছে। এর আগে আন্তর্জাতিক চাপের কারণে গাজায় ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি দেয় ইসরায়েল।
অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় ত্রাণ সরবরাহের অংশ হিসেবে আকাশপথে খাদ্য ও ওষুধ পাঠানোর ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। পাশাপাশি, অঞ্চলটিতে নির্দিষ্ট মানবিক করিডোর খোলা হবে বলেও জানায় তারা। গাজায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি গভীরতর হওয়ায় বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে তেল আবিব।