• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২৪ জুলাই, ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২

বিধ্বস্ত বিমান হাসিনার আমলে কেনা, দাবি হাসনাতের

প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২৫, ০৪:৫৬ পিএম

বিধ্বস্ত বিমান হাসিনার আমলে কেনা, দাবি হাসনাতের

চাঁদপুর প্রতিনিধি

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি শেখ হাসিনার আমলে কেনা বলে দাবি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ডে এনসিপির পথসভায় বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে তিনি এ দাবি করেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘যে বাংলাদেশে আকাশ থেকে বিমান ভেঙে পড়ে, ভবন ভেঙে পড়ে, আমরা সেই রকম বাংলাদেশ চাই না। হাসিনার আমলে প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে, পূর্বের সেই দুর্নীতিগুলোর তদন্ত করা উচিত। এ বিমানগুলো হাসিনার আমলে কেনা। সেই সময় হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। আমরা বিমানবাহিনীর ভাইদের নিরাপত্তা চাই। আপনাদের নিরাপত্তার যেসব সরঞ্জাম রয়েছে এসব সঠিক কি না, ঝুঁকিমুক্ত কি না আপনাদের বিবেচনা করতে হবে।’

স্বাস্থ্য উদেষ্টার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমাদের একজন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আছেন, আপনারা তাকে চেনেন? তিনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাই-ব্রাদার কোটায় এসেছেন। ড. ইউনূসের স্বজনপ্রীতির সবচেয়ে বড় উদাহরণ এই স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। সব সময় বলে আসছি, এ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কোনো প্রয়োজন নাই। আপনারা ওনার কোনো অ্যাক্টিভিটি দেখেছেন? তিনি যে বেতন নেন তা হারাম হবে। তিনি সরকারি টাকায় যে গাড়িতে চড়েন তা জনগণের সঙ্গে বেঈমানি। এ স্বাস্থ্য উপদেষ্টা কোনো কাজের না। তিনি স্বাস্থ্যব্যবস্থা বোঝেন না, চিকিৎসা বোঝেন না। ওনার একমাত্র যোগ্যতা তিনি গ্রামীণ ব্যাংকে ছিলেন এবং ড. ইউনূসের খুব কাছের মানুষ। এই স্বাস্থ্য উপদেষ্টা লইয়া আমরা কী করিবো। তিনি নিজের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান। এই স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে যে বেতন-ভাতা দেওয়া হয়েছে তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়ে তার অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’

পথসভায় এনসিপি নেতা সারজিস আলম বলেন,  ‘জুলাই শহীদদের মা যারা আছেন কান্না করতে করতে তাদের চোখের পানি শুকিয়ে গিয়েছে। নতুন আরেক জুলাই এসেছে। কিন্তু কোনো দৃশ্যমান বিচার লক্ষ্য করা যায়নি। জুলাই ঘটনার জন্য দায়ী খুনি হাসিনাসহ জড়িত সবার বিচার করতে হবে। ’

এদিন কর্মসূচির শুরুতে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে কুশল বিনিময় করেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এ সময় জুলাই আন্দোলনের নেতাদের কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন শহীদ পরিবারের সদস্যরা। স্বজন হারিয়ে তাদের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ প্রত্যাশার কথা নেতৃবৃন্দের কাছে তুলে ধরেন।

পরে উত্তরার বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণ হতে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত শোক র‍্যালি বের করে এনসিপির নেতাকর্মীরা। সেই র‌্যালি আসে এনসিপির পদযাত্রা পর্যন্ত।  সেখানে পথসভা শেষে হাজীগঞ্জে শহীদ আজাদ চত্ত্বরের উদ্বোধন ও সবশেষ শাহরাস্তির দোয়াভাঙ্গায় পদযাত্রা শেষে কুমিল্লার দিকে রওয়ানা দেন তারা।

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ