 
              প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২২, ১০:১৩ পিএম
 
                 
                            
              গেল সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও চড়া নিত্যপণ্যের বাজার। মুরগির দাম বাড়লেও গরুর মাংস ও ইলিশের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে দাম বেড়েছে রুই, কাতলাসহ অন্য সব মাছের দাম। তা ছাড়া বেড়েছে সবজির দাম। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
এ দিন প্রতি কেজি মুরগির মাংস ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭০০ টাকায়, গরুর মাংসের কলিজাও একই দামেই বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া খাসির মাংস ৯৫০ থেকে ৯৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে।
সপ্তাহ ব্যবধানে সবজির দামও ক্রেতার নাগালের বাইরে। সবজির মধ্যে ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, প্রতি কেজি মুলা ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, পটল, ঢেড়স ও শসা ৬০ টাকা, টমেটো ১৪০, গাজর ১২০-১৩০, পেঁপে, কাচকলা ও আলু ৩০ টাকা এবং বরবটি ৬০-৭০ টাকা ধরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
আব্দুল লতিফ নামে এক ক্রেতা বলেন, আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষরা মুরগির মাংসটাই সবচেয়ে বেশি খাই। এখন পূজার ছুটি উপলক্ষে অনেকেই বাসায় বেড়াতে এসেছেন, তাই মাংসের চাহিদাটা বেশি থাকে। কিন্তু এত দাম হলে কীভাবে কিনব।
এদিকে প্রতি আঁটি লালশাক ২৫ টাকা, ডাঁটাশাক ২৫ টাকা এবং পুঁইশাক ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের মধ্যে প্রতি কেজি ইলিশ ৭০০-৭৫০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৬০০-১২০০ টাকা, আকার ভেদে শিং মাছ ৫০০-৭৫০ টাকা, পাঙাশ ১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, রুই ২৫০ টাকা, সিলভার কার্প ১৪০ টাকা, কৈ ২২০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাংস বিক্রেতা আকবর জানান, বর্তমানে মাংসের বাজারের অবস্থা ভালো না। ৭০০ টাকার নিচে কোথাও গরুর মাংস নেই। দাম বেড়ে যাওয়ায় কেনাবেচাও খারাপ।
অন্যদিকে বাজারে প্রতি কেজি আটাশ চাল ৬০ টাকা, মিনিকেট ৭০-৭৫ টাকা, গুটি স্বর্ণা ৫৫ টাকা, স্বর্ণা ৫০ টাকা, নাজিরশাইল ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মানভেদে পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৫০ টাকা, আদা ১৯০-২০০ টাকা, রসুন ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজি প্রতি মসুর ডাল (মোটা) ১১০ টাকা, চিকন ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুদি দোকানি ইমরুল কায়েস জানান, গত সপ্তাহেও খুচরা বাজারে আদার দাম ছিল ১৭০ টাকা। এ সপ্তাহে সেটা এক লাফে ২০ টাকা বেড়েছে। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।
জেডআই/এএল
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      