• ঢাকা মঙ্গলবার
    ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

আদালতের আদেশ না মানলে আপনার ক্যারিয়ার শেষ: কক্সবাজারের ডিসিকে হাইকোর্ট

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২২, ০১:৩৯ এএম

আদালতের আদেশ না মানলে আপনার ক্যারিয়ার শেষ: কক্সবাজারের ডিসিকে হাইকোর্ট

আদালত প্রতিবেদক

নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন না করায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মামুনুর রশীদকে ভর্ৎসনা করেছেন হাইকোর্ট। আদালত ডিসিকে উদ্দেশ করে বলেছেন, কক্সবাজারের সৌন্দর্য রক্ষায় আপনার পারফরমেন্স শুধু জিরো নয়, নেগেটিভও। বারবার বলার পরও আপনি সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করেননি। আপনি সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ মান্য করুন। আদালতের আদেশ না মানলে আপনার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। আপনি এই ঝুঁকিতে যাবেন না।

আদালত অবমাননার অভিযোগে তলবের প্রেক্ষিতে বুধবার (১৯ অক্টোবর) কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ হাজির হলে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ এসব কথা বলেন। ডিসি আদালতকে বলেন, ‘আমি কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। এখন আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করব।’

আদালত বলেন, ‘শুধু করব বললেই হবে না, আপনাকে করতেই হবে। আদালতের আদেশ না মানলে আপনার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে।’ শুনানি শেষে আদালত তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন। এ ছাড়া অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে আগামী ৯ নভেম্বরের মধ্যে ডিসিকে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন আদালত।

কক্সবাজারের ডিসির পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও রিট আবেদনের পক্ষে মনজিল মোরসেদ শুনানি করেন। ডিসির আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্ট বলেন, আমরা কখনও ঢালাওভাবে কারও বিরুদ্ধে কনটেম্পট (আদালত অবমাননা) করি না। তাকে (ডিসি) অনেকবার সুযোগ দেয়া হয়েছে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতের মনোভাব জানিয়েছেন। এরপরও তিনি আদেশ মানেননি। এই কারণে তাকে তলব করেছি।

উচ্চ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ অনুযায়ী বুধবার সকালে হাইকোর্টে হাজির হন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ। আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না হওয়ায় তিনি লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনাও করেন। এর আগে গত ২৫ আগস্ট আদালত অবমাননার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ডিসিকে তলব করেন।

মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, ডেপুটি কমিশনার আদালতে হাজির হয়ে বলেছেন, তারা চার শর বেশি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন। কিছু স্থাপনার মালিক আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে বলেছিল, তারা নিজেরা ৩১ অক্টোবরের মধ্যে অপসারণ করে নেবে। যার কারণে সেগুলো উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি। এখন এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৯ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

জেডআই/

আর্কাইভ