• ঢাকা সোমবার
    ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটজনক অবস্থায়: সিপিডি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২২, ১০:৩০ পিএম

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটজনক অবস্থায়: সিপিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) জানিয়েছে, দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটজনক অবস্থায় নেমেছে। আর যেন না কমে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। রপ্তানির পাশাপাশি বৈধ পথে রেমিট্যান্স বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডির নিজস্ব কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সংস্থাটি নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

‘বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আভাস এবং বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ: উত্তরণ কোন পথে?’ শীর্ষক ব্রিফিংয়ে নিজেদের এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে সিপিডি। ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘বাংলাদেশে আধা কেজি পাউরুটির দাম ৬২ টাকা, যা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ। এই দাম পাকিস্তানে ৪৫ টাকা, ভারত ও নেপালে ৪৮ টাকা, এমনকি শ্রীলঙ্কায়ও ৫০ টাকা, যা বাংলাদেশের তুলনায় অনেক কম।’

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটজনক অবস্থায় নেমেছে। আর যেন না কমে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। রপ্তানির পাশাপাশি বৈধ পথে রেমিট্যান্স বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে। বিদেশ থেকে নেয়া ঋণের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি দাবি করেন দেশে বেশির ভাগ পণ্য ও সেবায দক্ষিণ এশিয়ার গড় দামের চেয়েও বেশি, এমনকি অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কার চেয়েও বেশি মূল্য পরিশোধ করতে হয়।

সিপিডির গবেষণা বলছে, ‘বাংলাদেশে গরুর মাংসের গড় মূল্য ৬৮৪ টাকা, যেখানে বিশ্বের গরুর মাংসের গড় দাম ৫৪৯ টাকা। পাকিস্তানে এক কেজি গরুর মাংস ৩৭৫ টাকা, ভারতে ৫৮০ টাকা, নেপালে ৪৬৫ টাকা এবং শ্রীলঙ্কায়ও ৫৪৫ টাকা।’

ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘করোনার সময় থেকে জিনিসপত্রের উচ্চমূল্য বা মূল্যস্ফীতি নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের জীবনকে কঠিন করে তুলেছে। আমদানি পণ্যের পাশাপাশি দেশে উৎপাদিত পণ্যেরও দাম বেড়েছে। মূল্যস্ফীতির তথ্য বাজারের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। মূল্যস্ফীতি লাগামহীন, পরিত্রাণের লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় খাদ্যসংকটের আভাস স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।’

ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী মন্দার বিষয়টি চলমান এবং তা আরও ধীরে ধীরে ঘনীভূত হচ্ছে। এই মন্দা বিভিন্ন রূপে বারবার আসতে পারে। এজন্য বাংলাদেশকে এখন থেকেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষমতা বাড়াতে হবে।’

বর্তমান অবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় বেশ কিছু পণ্যে কর ছাড় দিয়ে মানুষের জীবন আরও সহজ করা যায়। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় ৫ শতাংশ বেতন বাড়ানো, ওএমএস কার্যক্রম আরও বাড়ানো, জ্বালানির দাম কমানো এবং দরিদ্র-অতিদরিদ্র মানুষকে নগদ অর্থসহায়তা দেওয়া হলে মানুষের কষ্ট কিছুটা কমবে বলেও মনে করেন ফাহমিদা খাতুন।

জেডআই/

আর্কাইভ