 
              প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২৩, ০৭:২৯ পিএম
---2023-06-03T132813305-20230603072914.jpg) 
                 ছবি: সংগৃহীত
এমপিওভুক্ত শিক্ষায় বৈষম্য নিরসনসহ জাতীয়করণের জন্য বাজেটে অর্থ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী মহাজোট।
শনিবার (৩ জুন) প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে এ দাবি জানান জোটের নেতারা।
বক্তব্যে মহাজোটের আহ্বায়ক মাঈন উদ্দিন বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধ পরবর্তী দেশে ১৯৭৩ সালে ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ৫০ থেকে ৭৫ টাকায় উন্নীতকরণ এবং বেসরকারি কলেজের বেতন ১৫০ টাকায় উন্নীত করেছিলেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে প্রায় ২৬ হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছেন।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ও বৈশাখী ভাতার ব্যবস্থা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি। তার জন্য প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা ও সুষ্ঠু নীতিমালা। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন ও টিউশন ফি বাবদ যা আয় হয় তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলেই ভর্তুকি ব্যাতিরেই জাতীয়করণ সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে বেতনের ১০ শতাংশ হারে কেটে রাখলেও বৃদ্ধ বয়সে যথাসময়ে এ টাকা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নেই। অনেক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারী টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যান।অধ্যক্ষ থেকে কর্মচারী পর্যন্ত নামমাত্র ১০০০ টাকা বাড়িভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। এমনকি এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগ এনটিআরসিএ সুপারিশ করলেও নিয়োগ দিতে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির বাড়তি অর্থ গ্রহণের অভিযোগও রয়েছে।
বক্তব্যে সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, কোন রকম ভর্তুকি ছাড়াই প্রতিষ্ঠানের আয় থেকেই জাতীয়করণ সম্ভব, এই মর্মে হিসাবসহ প্রস্তাবনা আমরা শিক্ষা, অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছিলাম। আমাদের বিশ্বাস ছিল ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এমপিওভুক্ত শিক্ষায় বৈষম্য নিরসনে প্রস্তাবনা থাকবে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনও প্রস্তাবনা না থাকায় এবং বিভিন্ন মিডিয়ায় সরকারি কর্মচারীদের মতো এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট দিয়ে দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সমন্বয়ের নেতিবাচক সংবাদ আমাদের হতাশ করেছে।
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন প্রিন্সিপাল দেলাওয়ার হোসের আজীজী, ড. ইদ্রিস আলী, অধ্যক্ষ আফজল হোসেন তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, শাহ আলম, তালুকদার আব্দুল মান্নাফ, বেণীমাধব দেবনাথ, মো মোহসিন আলী, শেখ মো. জসিম উদ্দিন, মেসবাৃউল ইসলাম প্রিন্স, বাসেত আলী, রাকিবুর রাসেল, আব্দুল জব্বার, মতিউর রহমান দুলাল, আশরাফুজ্জামান হানিফ- আফজালুর রশীদ, ফরিদ উদ্দিন, মোস্তফা কামাল, ঝর্ণা বিশ্বাস, আমাতুন নাহার, তোফায়েল সরকার, মামুনুর রশিদ মহিবুল্লা মুজাহিদ, নূর- আমীন হেলালী, দেলোয়ার হোসেন, আতিক তালুকদার, আব্দুল মতিন, লুতফুর রহমান, আবুল বাসার, আবুল বাসার নাদিম, মো. গোল ফারুকী, কামরুজ্জামান চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, জাফর আলী, মিজানুর রহমান, আবু ইউসুফ, ফয়জুল আমীন, শারমীন আক্তার প্রমুখ।
জেকেএস/
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      