• ঢাকা মঙ্গলবার
    ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

তীব্র গরম, লোডশেডিংয়ে যশোরে জনজীবন অতিষ্ঠ

প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২৩, ১০:৪২ পিএম

তীব্র গরম, লোডশেডিংয়ে যশোরে জনজীবন অতিষ্ঠ

যশোর প্রতিনিধি

তীব্র গরম এবং লোডশেডিংয়ে যশোরেও জনজীবন অতিষ্ঠ। এ জেলায় প্রতিদিন গড়ে ৪ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। বিশেষ করে রাতে লোডশেডিং বেশি হওয়ায় কষ্ট পাচ্ছে শিশুসহ সব বয়সী মানুষ। সেই সঙ্গে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে কলকারখানায়।

যশোর বিমানবন্দরস্থ আবহাওয়া বিভাগের তথ্য মতে, রোববার (০৪) দুপুর ১২টায় যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেইসঙ্গে যোগ হয়েছে অব্যাহত লোডশেডিং। যশোর শহরে প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ৬২ মেগাওয়াট। সেখানে পাওয়া যাচ্ছে দিন রাত মিলে গড়ে ৩৫ মেগাওয়াট।

অপরদিকে জেলার বাকী সাত উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ২৩২ মেগাওয়াট। সেখানে দিন রাত মিলে ঘাটতি থাকছে ৯১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এতে জেলায় প্রতিদিন গড়ে ৪ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। বিশেষ করে রাতে লোডশেডিং বেশি হওয়ায় কষ্ট পাচ্ছে শিশুসহ সব বয়সী মানুষ। সেই সঙ্গে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে কলকারখানায়।

যশোরের কেশবপুর উপজেলার মেহেরপুর গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, লোডশেডিং অনেক বেড়ে গেছে। আধা ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকলে দুই ঘণ্টা থাকে না। নামাজের সময়টুকুতেও বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। রাতে বিদ্যুৎ গেলে সকালে আসে। এতে করে ঘুমটাও ঠিকমতো হচ্ছে না।


জাহিদ হাসান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, সন্ধ্যার পর পরই কারেন্ট চলে যায়। এরপর রাত ৯টা বা ১০টার দিকে আসে। ঘণ্টাখানেক থাকার পর আবারও চলে যায়। লেখাপড়া করতেই পারছি না। তাছাড়া গরমে খুব কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।

জাকির হোসেন নামে অপর একজন বলেন, ঘরে শিশু সন্তান রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় সারাক্ষণ পাখা ব্যবহার করতে হচ্ছে। দীর্ঘ সময় পাখা ব্যবহার করাও খুব কঠিন। বিল না দিলে মাইকিং করে অথচ বিদ্যুৎ দিচ্ছে না পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

জাহানারা নামে এক নারী বলেন, বাড়ির প্রধান ব্যক্তি সারাদিন কাজ করে ফিরে খেতে বসেছে। এখন বিদ্যুৎ নেই। তাই হাত পাখা দিয়েই তাকে বাতাস করছি। কখন বিদ্যুৎ আসবে তার ঠিক ঠিকানাও নেই‌। সেই সঙ্গে যে তাপ পড়ছে তাতে টেকা দুষ্কর হয়ে গেছে।

যশোর আহাদ জুট মিলের ম্যানেজার মো. কামরুজ্জামান জানান, দিনে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকছে। এ সময় শ্রমিকরা বসে বসে সময় কাটাচ্ছে। লোডশেডিং এর কারণে উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। সব মিলিয়ে বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হচ্ছে তারা।


এডিএস/

আর্কাইভ