• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা অসাংবিধানিক: মার্কিন নির্বাচন পর্যবেক্ষক

প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৩, ০৫:৫৮ পিএম

তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা অসাংবিধানিক: মার্কিন নির্বাচন পর্যবেক্ষক

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের সংবিধানে তত্ত্বাবধায়কের বিধান নেই। তাই আইনের মধ্যে থেকেই কিভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায় সে বিষয়ে ইসির কাছে জানতে চেয়েছে ঢাকায় সফররত মার্কিন পর্যবেক্ষক টেরি এল ইসলে।

ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের আমন্ত্রণে আসা এই পর্যবেক্ষক বলেন যদিও এটি তার ব্যক্তিগত মত তবে এই অভিজ্ঞতা তিনি যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে অবহিত করবেন। পরে কমিশন সচিব জানান সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অনুমতি নিয়ে আসা সকল পর্যবেক্ষককে সহায়তা করবে কমিশন।

রোববার (৩০ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের টেরি এল ইসলে বলেন, বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার অসাংবিধানিক। নির্বাচন কমিশন চাইলেও তা পরিবর্তন করতে পারবে না। আমরা অসাংবিধানিক কোন বিষয়ে আলোচনা করতে চাই না। আমরা বলেছি, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। কমিশন সেই বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে।

তিনি বলেন, এটা যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য নয়, আমার ব্যক্তিগত বক্তব্য। তবে আমার অভিজ্ঞতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জানাবো।

সকালে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে সফররত ৪টি দেশের প্রাক নির্বাচনী দলের প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এ বৈঠকে আয়ারল্যান্ড, চীন, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তবে বিশেষ কারণে যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ কোরিয়া বৈঠক অংশ নিতে পারেনি।

এর আগে গতকাল শনিবার (২৯ জুলাই) রাজধানীতে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন ঢাকায় সফররত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ ৬টি দেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা। ওই সংলাপে টেরি এল ইসলে সংবিধান সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অবৈধ ও ত্রুটিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন। আর আরেক রাজনীতি বিশ্লেষক নিক পাওয়েল জানান, বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন দেখতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

সংলাপে মার্কিন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নির্বাচন পর্যবেক্ষক টেরি এল ইসলে আরও বলেন, চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় বাংলাদেশে নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে ইসিকে সহযোগিতা এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি মাত্র কয়েক মাস। নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিসহ সমমনা বাকি রাজনৈতিক দলগুলো। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে সফর করছে ছয়টি দেশের প্রাক নির্বাচনী দল।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ