• ঢাকা শনিবার
    ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনে ভোট কারচুপির উৎসব হয়েছে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৪, ১০:২০ এএম

নির্বাচনে ভোট কারচুপির উৎসব হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম ও ‘তৃণমূল বিএনপি’। ‘কিংস পার্টি’ হিসাবে পরিচিতি পাওয়া দল দুটির নেতারা বলেন, নির্বাচনে ভোট কারচুপির উৎসব হয়েছে।

বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহ মো. আবু জাফর ও মহাসচিব মো. শাহজাহান বলেন, কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ নির্বাচনি দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সহায়তায় ব্যালট কেটে বাক্স ভরা হয়। একপর্যায়ে তা ভোট কারচুপির উৎসবে পরিণত হয়। ফলে ভোটারদের ভোটদানে তেমন একটা অংশগ্রহণ না থাকলেও গণনায় বিশেষ দলের দলীয় বা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ব্যাপকভাবে এগিয়ে থাকা ছিল স্বাভাবিক। ফলে যা হওয়ার তা-ই হয়েছে, অর্থাৎ কাজির গরু খোঁয়াড়ে না থাকলেও কেতাবে ঠিকই বিদ্যমান ছিল।

বিএনএমের নেতারা বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের দেওয়া অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রতিশ্র“তির পরিপ্রেক্ষিতে অনেক আশা নিয়ে বিএনএম নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নির্বাচনের আগপর্যন্ত আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং কিছু অনিয়ম ছাড়া বড় ধরনের ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হয়নি।

নির্বাচনের দিন সকাল ১০টা-১১টা থেকে দাপট খাটানো শুরু হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করেছেন বিএনএমের নেতারা। তাদের অভিযোগ, বিশেষ রাজনৈতিক দলের, যারা আলাদা প্রার্থী হিসাবে পরিচিত, তাদের যার যেখানে দাপট খাটানোর মতো অবস্থা ছিল, তারা সেখানে দাপট খাটান।

প্রশাসন বিশেষ প্রার্থীদের হয়ে ভূমিকা পালন করেছে বলেও বিএনএমের নেতারা অভিযোগ করেছেন। তাদের দাবি, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অধিকাংশ সদস্য ভোটের দিন মধ্যাহ্নভোজের পর কারচুপি ঠেকাতে হিমশিম খেয়ে হাল ছেড়ে দেন।
নেতাদের দাবি, নির্বাচনের দিন বিশেষ দলের নেতাকর্মীদের কারচুপির মাধ্যমে ব্যালট কেটে বাক্স ভরাটের প্রতিযোগিতা এবং সন্ত্রাসী ও মারমুখী আচরণ দেখে বিএনএমের প্রার্থীরা বিস্ময়ে হতভম্ব ও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গিয়েছিলেন।

এদিকে দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, মনে হচ্ছে, দেশটা একটা একদলীয় শাসন ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে চলছে।

নির্বাচনকে ‘সরকার বনাম সরকারের নির্বাচন’ বলে মন্তব্য করে তৈমূর বলেন, আমরা এইরকম সাজানো নির্বাচনে আর যাব না। এই নির্বাচন হইছে সরকার টু সরকার, নৌকাও সরকারের, স্বতন্ত্রও সরকারের। মনে হচ্ছে দেশটা একটা একদলীয় শাসন ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে চলছে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে ইসির কোনো ক্ষমতা থাকে না বলেও মন্তব্য করেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব।

তিনি বলেন, নির্বাচনটাকে যেভাবে কুক্ষিগত করা হয়েছে তাতে নির্বাচন কমিশনের বেসিকালি কোনো ক্ষমতা নেই। তাদের কোনো জনবল নেই, তারা প্রশাসনের ওপর নির্ভর করে। প্রশাসনও সরকারের আজ্ঞাবহ থাকে, কারণ সংবিধানের ৪৮ এর ‘গ’ ধারা অনুযায়ী এই দেশের একমাত্র ক্ষমতার মালিক প্রধানমন্ত্রী। সিইসির সচিবের বক্তব্য আপনারা শুনেছেন, তার বক্তব্যে কী মনে হয় দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে? তিনি তো বলছেন, ডিসিদের কাছে তো মেসেজ চলে গেছে। সিইসি থেকেই সব প্রকাশ পেয়ে গেছে। 

আর্কাইভ