
প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২৫, ১১:৩৯ পিএম
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুমের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় সিটিআইবির সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদকে ধরতে দেশের সব সীমান্ত, স্থল, বিমান ও সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তাকে ‘ইলিগ্যাল অ্যাবসেন্ট’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সেনাবাহিনী।
শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের মেসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সামরিক সদস্যদের মামলাসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান।
মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, যাদের হেফাজতে আসতে বলা হয়েছে তাদের মধ্যে সবাই রেসপন্স করেছে। শুধু একজন রেসপন্স (সাড়া দেয়নি) করেননি। তার নাম মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ। তিনি ৯ তারিখ পর্যন্ত কোনো রেসপন্স করেননি। পরে ১০ তারিখে আমরা তার সঙ্গে আবার যোগাযোগের চেষ্টা করি এবং তার পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করি।
‘আমরা জানতে পারি উনি ৯ অক্টোবর সকালে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন একজন আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করার কথা বলে। কিন্তু পরে তিনি আর বাসায় ফেরত আসেনি। এরপর তার সঙ্গে পরিবারেরও মোবাইল ফোনে কোনো যোগাযোগ হয়নি।’
এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নিয়মানুযায়ী তাকে ইলিগ্যাল অ্যাবসেন্ট হিসেবে ঘোষণা করি। এরপর এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আরও কিছু অফিসিয়াল কাজ সম্পন্ন করি গত ১০ অক্টোবর।
তিনি আরও বলেন, সঙ্গে সঙ্গে আমরা ডিজিএফআই, এনএসআই ও বিজিবিকে বলেছি— স্থলবন্দর, বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দর দিয়ে যেন উনি (মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মাদ) অবৈধভাবে দেশের বাইরে না যেত পারেন।
তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায়ও লোক পাঠিয়েছি আমরা। তিনি দেশের বাইরে চলে যেতে পারেন এ বিষয় মাথায় রেখেও আমরা খোঁজ নিয়েছি। মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মাদ যাতে দেশের বাইরে না যেতে পারে সেজন্য আমি নিজে ডিজিএফআইয়ের ডিজি, এনএসআইয়ের ডিজি ও বিজিবি ডিজির সঙ্গে কথা বলেছি, যোগ করেন সেনাবাহিনীর এ কর্মকর্তা।
মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যোগদানের আগে তিনি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) পরিচালকের পদে ছিলেন।