• ঢাকা শুক্রবার
    ০৩ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে হঠাৎ জামায়াত শিবিরের মিছিল-সমাবেশ, গ্রেপ্তার ৯

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২২, ০৩:১৪ এএম

চট্টগ্রামে হঠাৎ জামায়াত শিবিরের মিছিল-সমাবেশ, গ্রেপ্তার ৯

চট্টগ্রাম ব্যুরো

হঠাৎ করে সড়কে মিছিলের পর চট্টগ্রাম নগরীতে সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামীর বেশ কিছু নেতাকর্মী।

শনিবার সকালে বহদ্দারহাট থেকে বের করা মিছিলটি মোহাম্মদপুর এলাকায় গিয়ে সড়ক বন্ধ করে সমাবেশ করে; তখন পুলিশের বাধার মুখে সেখানে ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।

পরে পুলিশ সেখান থেকে দলটির ৯ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও হামলার অভিযোগে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) মোখলেছুর রহমান।

চলতি মাসে জামায়াতে ইসলামী একাধিকবার নগরীতে অতর্কিত এ ধরনের মিছিল-সমাবেশ করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকালে নগরীর বহদ্দারহাট এলাকা থেকে হঠাৎ করে মিছিল বের করে জামায়াতে ইসলামী। এতে দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর এবং ইসলামি ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

মিছিলের মাঝের দিকে ও পেছনের সারিতে থাকা নেতাকর্মীদের বেশির ভাগের মুখে ছিল মাস্ক। শিবিরের নেতাকর্মীদের হাতে লাঠিতে বাঁধা জাতীয় পতাকা দেখা যায়।

প্রায় হাজার খানেক নেতাকর্মীর মিছিলটি সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে নগরীর মোহাম্মদপুর এলাকায় আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের প্রবেশমুখে এসে অবস্থান নেয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকেও সরকারের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে।

জামায়াতের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার এ কর্মসূচিতে মিছিলের সামনে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল ‘কেয়ারটেকার সরকারসহ ১০ দফা বাস্তবায়ন এবং আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতৃবৃন্দের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে’ গণমিছিল।

মিছিল ও ফ্লাইওভারের মুখের সড়ক বন্ধ করে সমাবেশের সময় এক পাশের অংশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর ফ্লাইওভারের প্রবেশমুখ বন্ধ করে প্রায় ৪০ মিনিটের এ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, “আমিরে জামায়াত অত্যন্ত মানবিক একজন নেতা হওয়ার পরেও তাকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। আমরা স্বৈরাচারের কবল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করে ছাড়ব।“

কর্মসূচিতে অংশ নেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর নায়েবে আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, নগর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমীন, সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ, এফ এম ইউনুছ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, প্রচার সম্পাদক এএইচএম কামাল, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান ও ছাত্রনেতা নোমানুর রশিদ।

জামায়াতের এ গণমিছিলের বিষয়ে আগে থেকে কিছু জানত না পুলিশ। সড়ক বন্ধ করে মিছিল-সমাবেশের খবর পেয়ে মহানগর পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়।

এসময় সড়ক থেকে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের পুলিশ সরে দিতে বললে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে বলে দাবি পুলিশের।

উপ কমিশনার মোখলেছুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাস্তা বন্ধ করে তারা মিছিল সমাবেশ করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায় তখন তাদের সাথে ধাক্কাধাক্কি হয়। এতে আমাদের দুজন সদস্য আহত হয়েছেন। তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

আর্কাইভ