 
              প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৩, ০৩:২৮ এএম
-20230905152854.jpg) 
                 ছবি: সংগৃহীত
প্রতিদিনই বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। আর তাই বিদেশে উন্নত চিকিৎসার অভাবে তার কিছু ঘটলে দায় নিতে হবে সরকারকেই- এমন হুঁশিয়ারি দিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বললেন, মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসায় বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোন উন্নতি হচ্ছে না।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকেবেগম জিয়া ইস্যুতে উদ্বেগ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বেগম জিয়ার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন প্যারামিটারের অবনতি ঘটেছে। যার চিকিৎসা নিতে হবে বিদেশের উন্নত হাসপাতালে। দেশের হাসপাতালে বেগম জিয়ার যে চিকিৎসা চলছে তা কোন কাজে আসছে না।’
তিনি জানান, গত ২৬ দিন ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। হৃদযন্ত্রের দুইটি ব্লক, লিভার সিরোসিসের জটিল অবস্থাসহ কিডনি, আর্থ্রাইটিসসহ নানামুখী শারীরিক জটিলতার চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। তবে সবশেষ প্রায় সবগুলো মেডিকেল রিপোর্টে বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থার অবনতির কথা উঠে আসে। যেখানে শরীরে খনিজের অসমতা, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম দেখাচ্ছে।
নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা বেগম জিয়ার এমন পরিস্থিতি নিয়ে মেডিকেল বোর্ড ও পরিবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলেও জানান মির্জা ফখরুল।
এমন অবস্থায় বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি না দেয়ায় সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এনাফ ইজ এনাফ..পদত্যাগ করুন, না হলে পালাবার পথ পাবেন না। উন্নত চিকিৎসার অভাবে বেগম জিয়ার কিছু ঘটলে দায় নিতে হবে সরকারকেই।’
গত ৯ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ৭৭ বছর বয়সি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। এর আগে গত বছরের জুনে এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।
মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন, বেগম জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদরোগে ভুগছেন। তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণের পাশাপাশি তিনি লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      