প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫, ০৭:০৪ পিএম
‘একাত্তর সাল থেকে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ অব্যাহত রয়েছে। আমাদের আহ্বান থাকবে, উৎসব নয়, বরং আগামীকাল (বিজয় দিবসে) বাংলাদেশের রাস্তায় প্রতিরোধের যাত্রা হবে। আমরা ঢাকা শহরে প্রতিরোধ র্যালি করব।’
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বদলীয় প্রতিরোধ সপ্তাহের এই কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আগামীকাল আমরা ঐক্যবদ্ধ হব। ভারত যদি মনে করে, ৫ আগস্টের পরে তারা আগের মতো বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপ করবে, নির্বাচনে কারসাজি করবে, তাদের সে ভাবনা ভুল। আমরা সবাই মিলে সে ধারণা ভুল প্রমাণ করে দেব।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ভারতের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতাও বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল। ফলে ভারতকে সতর্ক থাকতে হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে সম্পর্ক রাখতে হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি উঠেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নৈতিকভাবে তিনি আর এই দায়িত্বে থাকতে পারেন না। ৫ আগস্টের পরে আমরা দেখেছি, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা ফেরত আসেনি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের টার্গেট করা হয়েছে। শহীদ পরিবারকে টার্গেট করা হয়েছে। মামলা উইথড্র করা হয়েছে। তারপরও আইন ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তাদের পদে বহাল রয়েছেন। আমরা বারবার আপনাদের সতর্ক করেছি।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে গোয়েন্দা সংস্থাকে সব বিরোধীকে দমন করতে ব্যবহার করা হয়েছিল। এত অভিজ্ঞ আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা; তারা গুম-খুন সব দক্ষতার সঙ্গে করতে পেরেছিল। কিন্তু ৫ আগস্টের পর তাদের দক্ষতা কোথায় যেন চলে গিয়েছে। তারা এখন আর কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারে না। তারা খুনিদের বাংলাদেশের বর্ডার দিয়ে পার হতে দিতে পারে।
‘৭২ ঘণ্টা পার হলেও খুনিকে ধরতে সক্ষম হয় না। ফলে শুধু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নয়, কোথা থেকে এই খেলা চলছে, সেই ডিপ স্টেটকে নিয়ে আপনাদের কথা বলতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে আপনাদের কথা বলতে হবে’, যোগ করেন তিনি।
নাহিদ বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর গুলির ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। যে ইলেকশন কমিশন এই কথা বলে (বিচ্ছিন্ন ঘটনা), সে ইলেকশন কমিশন আর দায়িত্বে থাকার কোনো নৈতিক অধিকার রাখে না। তার অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব কি না, এই প্রশ্ন আমরা গত ৬ মাস ধরে করে যাচ্ছি। আমরা আশা করব, তিনি (সিইসি) তার বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ চাই। কিন্তু এই অথর্ব নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন করা সম্ভব বলে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে না।