
প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২১, ০৯:০৫ পিএম
চলতি
বছর মার্চের তুলনায় এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি অনেকটাই বেড়েছে। মার্চে যেখানে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক
৪৭ শতাংশ, এপ্রিলে সেখানে ৫ দশমিক ৫৬
শতাংশ হয়েছে। এই সামান্য ব্যবধানে
মূল্যস্ফীতি হয়েছে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ।
সম্প্রতি
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এপ্রিলের মূল্যস্ফীতির এই হিসাব তাদের
ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে।
বিবিএসের
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চিঁড়া, মুড়ি, তরল দুধ; সবজির
মধ্যে বেগুন, চালকুমড়া, টমেটো, বরবটি, শসা, গাজর, চিচিঙ্গা,
ঝিঙ্গা, কাঁচকলা, লেবু; মসলার মধ্যে পেঁয়াজ ছাড়া সব কিছুর
দাম বেড়েছে। ফলের মধ্যে তরমুজ,
কলা, আপেলের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে
মুরগি, ডিম, কাঁচা মরিচ,
পেঁয়াজ, পুঁইশাক, পালংশাকের দাম মার্চের তুলনায়
এপ্রিলে কমেছে। আর চাল, মিষ্টিকুমড়া,
পটোল, লালশাক, ডাঁটাশাক, চিনি, লবণ, নুডলস, সিগারেট,
বিড়ি এবং মাছের মধ্যে
রুই, চিংড়ি, বোয়াল, শিং, মাগুর ইত্যাদির
দাম স্থিতিশীল ছিল।
বিবিএস
প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের তথ্য
বলছে, এপ্রিল মাসে পয়েন্ট টু
পয়েন্ট ভিত্তিতে (মাসওয়ারি) দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি
হয়েছে ৫ দশমিক ৫৬
শতাংশ। আগের মাসে মূল্যস্ফীতির
হার ছিল ৫ দশমিক
৪৭ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৫ দশমিক
৩২ শতাংশ। জানুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫
দশমিক ০২ শতাংশ। গত
বছরের ডিসেম্বরে ছিল ৫ দশমিক
২৯ শতাংশ। সাত বছর পর
২০২০ সালের অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের ঘর
অতিক্রম করে ৬ দশমিক
০২ শতাংশে উঠেছিল। নভেম্বরে অবশ্য সামান্য কমে তা ৫
দশমিক ৯৭ শতাংশ হয়।
বিবিএসের
তথ্য বলছে, এপ্রিলে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত দুই
খাতেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এই মাসে খাদ্য
মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৫৭
শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি
হয়েছে ৫ দশমিক ৫৫
শতাংশ। মার্চে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল
৫ দশমিক ৫১ শতাংশ। আর
খাদ্যবহির্ভূত খাতে হয়েছিল ৫
দশমিক ৩৯ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে
খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৫ দশমিক ৪২
শতাংশ, জানুয়ারিতে যা ছিল ৫
দশমিক ২৩ শতাংশ।
এ
দিকে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি জানুয়ারিতে
ছিল ৪ দশমিক ৬৯
শতাংশ, ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৫ দশমিক
১৭ শতাংশ। এপ্রিলে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে
গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৬৬
শতাংশ। মার্চে এই হার ছিল
৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে
ছিল ৫ দশমিক ৩৩
শতাংশ।
অন্যদিকে
এপ্রিল মাসে শহরাঞ্চলে সার্বিক
মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৩৯
শতাংশ। মার্চে হয়েছিল ৫ দশমিক ৩১
শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে এই হার ছিল
৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।
বিআর/এম. জামান