• ঢাকা মঙ্গলবার
    ২১ মে, ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা : ক্যাম্প পরিদর্শনে প্রতিনিধিদল

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২১, ০৪:৪৬ পিএম

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা : ক্যাম্প পরিদর্শনে প্রতিনিধিদল

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ হত্যার পর এই প্রথম ক্যাম্প পরিদর্শনে গেলেন সরকারের চার সদস্যদের প্রতিনিধিদল।

শুক্রবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে বিমানযোগে কক্সবাজারে পৌঁছান তারা। এরপর সরাসরি ক্যাম্পের উদ্দেশে রওনা দেন। সেখানে নিহত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লার পরিবারের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের সঙ্গেও কথা বলেন তারা।

রোহিঙ্গা নেতা খুন হওয়ার পর থেকে ক্যাম্পগুলোতে অস্থির ও থমথম পরিবেশ বিরাজ করছে। চলমান এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধিদল।

প্রতিনিধিদলে রয়েছেন- পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, পশ্চিম ইউরোপ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মহাপরিচালক ফায়াজ মুর্শিদ কাজি, পররাষ্ট্র সচিবের দফতরের মহাপরিচালক মো. আলীমুজ্জামান ও সহকারী সচিব শোয়াইব-উল ইসলাম তরফদার।

এর আগে ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি নাইমুল হক জানান, চার সদস্যের প্রতিনিধিদল ক্যাম্প পরিদর্শনে আসছেন। এজন্য কঠোর নজরদারি ও নিরাপত্তারব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিনিধিদল ক্যাম্প পরিদর্শন ও চলমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজ সংগঠনের কার্যালয়ে অবস্থানকালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ। এ ঘটনায় ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়া থানায় ৩০২/৩৪ ধারায় একটি মামলা করা হয়। যার বাদী নিহত মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিব উল্লাহ। ১ অক্টোবর উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-৬ থেকে মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত সন্দেহে মোহম্মদ সেলিম (৩৩) (প্রকাশ লম্বা সেলিম) নামে একজনকে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা গ্রেফতার করে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করে। 

২ অক্টোবর ভোররাতে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে জিয়াউর রহমান ও আব্দুস সালাম নামের আরও দুইজনকে গ্রেফতার করে ১৪ এপিবিএন। ওইদিন বিকেলে উখিয়া থানা পুলিশ শওকত উল্লাহ (২৩) নামে একজনকে কুতুপালং ক্যাম্প থেকে গ্রেফতার করে।

টিআর/ডাকুয়া

আর্কাইভ