• ঢাকা বুধবার
    ০৮ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

চলনবিলে অবৈধ সোঁতিজাল দিয়ে দিয়ে মাছ শিকার

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২১, ০৫:৫২ এএম

চলনবিলে অবৈধ সোঁতিজাল দিয়ে  দিয়ে মাছ শিকার

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের গুরুদাসপুরে চলনবিলে অবৈধ সোঁতিজাল দিয়ে দেশীয় মাছ শিকার করা হচ্ছে। উপজেলার বিলশা ব্রিজের পূর্বপাশে বাঁশের বেড়া দিয়ে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্থ করে সোঁতিজালে ছোট-বড় নানা প্রজাতির দেশীয় মাছ শিকার করছেন কিছু অসাধু মাছ শিকারী।

জানা যায়, সরকারি দলের 'লীগ নেতা সাবেক ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন বিলশা ব্রিজের পূর্বপাশের নদী পয়েন্টে সোঁতিজাল পেতে মাছ শিকার করছেন।

বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন বলেন, ’সবে মাত্র জাল পেতেছি। মাছ কিছুই পাওয়া যাচ্ছেনা। শুধু শুধু খরচ করে বসে আছি।

সোঁতিজাল চক্রের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একটি জাল পাততে দুই-তিন লাখ টাকা খরচ হয়। সব ম্যানেজ করেই মাছ শিকার করছেন তাঁরা। বর্তমানে নদীতে পানি বেশি হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মাছ কম ধরা পড়ছে। নদীর দুইপাড় বরাবর বাঁশ, নেটজাল তালাই দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে। মধ্যে ফাঁকা রাখা হয়েছে। সেখানেই পাতা হয় জাল। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পরপর সেসব জাল তুলে মাছ সংগ্রহ করা হয়

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিপলা এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, নদীতে এভাবে সোঁতিজাল পাতায় বাধাগ্রস্থ হচ্ছে নদীর পানিপ্রবাহ। নৌকা চলাচল ব্যাপক সমস্যা হয়। এভাবে সোঁতিজাল দিয়ে মাছ শিকার করতে থাকলে ছিটিয়ে বোনা সরিষা, ভুট্টা, গম রসুন আবাদ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) পিপলা এলাকা থেকে রাতে দুইটা সোঁতিজাল আটক করে নিয়ে গেছে পুলিশ। তবে বিলশা এলাকার সোঁতিজাল এখনো চলছে।

বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মতিন বলেন, ’সোঁতিজালের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। বিলশা এলাকার সোঁতিজালও উচ্ছেদ করা হবে।

ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তমাল হোসেন বলেন, ’সোঁতিজাল দিয়ে কাউকে মাছ শিকার করতে দেওয়া হবে না। মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সময়ে অভিযান চালানো হবে।

 

ইফাত

আর্কাইভ