• ঢাকা শনিবার
    ১১ মে, ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

‘নাজমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মাটিচাপা দেয় ওয়াসিম’

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০২১, ১০:১৩ পিএম

‘নাজমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মাটিচাপা দেয় ওয়াসিম’

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ঘটনার পাঁচ দিনের মধ্যে চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল পিবিআই পুলিশ সুপার সিরাজ আল মাসুদ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, উপজেলার আজগনা ইউনিয়নের ঘাগড়া এলাকার একটি কলাবাগানে গত ১৭ ডিসেম্বর অজ্ঞাত এক মহিলার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। পরে পিবিআই টাঙ্গাইল জেলা এই হত্যা মামলাটির ছায়াতদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তি বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকারী নিহতের স্বামী মো. ওয়াসীমকে শনাক্ত করে এবং তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ওয়াসিম দিনাজপুর জেলার খানসামা থানার ডাঙ্গারপাড়া এলাকার ইছাহকের ছেলে।

সময় ওয়াসিম জানায়, ২০১৯ সালে মোহাম্মদপুর ঢাকা উদ্যানের পাশে একটি ইটভাটায় কাজ করার সময় নাজমা বেগমের সঙ্গে পরিচয় হয়। সে ভোলা জেলার লালমোহন থানার দেবীর চর বেড়িবাঁধ হাওলাদার বাড়ি এলাকার আব্দুর রহমানের মেয়ে। নাজমা ওই ইটভাটায় বাবুর্চির কাজ করত। কাজ করার সময় নাজমার সঙ্গে ওয়াসিমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ২০২০ সালে করোনা মহামারীর কারণে ইটভাটার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তখন ওয়াসিম নিজ এলাকা দিনাজপুর চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ কথা শুনে নাজমা ওয়াসিমকে ঢাকা উদ্যানে দেখা করার কথা বলেন। পরে নাজমার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে নাজমা তার লোকজন জোরপূর্বক ওয়াসিমের সঙ্গে নাজমার বিয়ে পড়ায় এবং তিন লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে। পরবর্তীতে চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বর মির্জাপুর ইটভাটায় নাজমা বেগম ওয়াসিমের সঙ্গে দেখা করতে আসে। পরে সেখানে দুইজনের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নাজমা তাকে দেনমোহরের তিন লাখ টাকা ডিভোর্স চায়। তা না হলে মামলা করার ভয় দেখায়। নিয়ে দুইজনের মধ্যে আরও ঝগড়া হয়। পরে ইটভাটার পাশে কলাবাগানে ওয়াসিম নাজমার ওড়না গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং লাশ গুম করার জন্য কলাবাগানের ভেতর মাটিচাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।

নূর/এম. জামান

আর্কাইভ