• ঢাকা রবিবার
    ১৯ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

হলুদ জোনে নাটোর : অনেকেরই অজানা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২২, ১০:৩০ পিএম

হলুদ জোনে নাটোর : অনেকেরই অজানা

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোর জেলাকে হলুদ জোন বা মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর পরও নাটোরে নেই কোনো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বালাই। শহরের বেশির ভাগ বাজারে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। সঠিকভাবে কেউ পরছে না মাস্ক। অনেকেরই হলুদ জোন সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। তাই প্রতিদিন  জেলায় বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।

এই অসতর্কতার কারণে নাটোরে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। নাটোর জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ছয়জন করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১.১১ শতাংশ। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) ৪৫ জনের শরীরে নমুনা পরীক্ষা করে ছয়জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩.১৩ শতাংশ, যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। পর্যন্ত নাটোর জেলায় মোট ৩২ হাজার ৮৫৯ জনের শরীরে নমুনা পরীক্ষা করে মোট শনাক্ত হয়েছেন হাজার ৪৮৮ জন। সর্বশেষ দুই মাস আগে করোনায় একজনের মৃত্যুসহ মোট মৃতের সংখ্যা ১৭৫ জন। আধুনিক সদর হাসপাতালে ২০টি বেড প্রস্তুত রয়েছে।

আধুনিক সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. পরিতোষ কুমার বলেন, ‘নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ২০টি বেড প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া ইয়েলো এবং রেড জোন দুই ইউনিট আলাদা করা হয়েছে। জরুরি অক্সিজেন সরবরাহের জন্য ২০০টি সিলিন্ডার প্রস্তুত করা হয়েছে।’

নাটোর সিভিল সার্জন আফরোজা বেগম বলেন, ‘হলুদ জোন ঘোষণার পর থেকেই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা প্রতিরোধে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এখন পর্যন্ত নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডের রেড জোনে ছয়জন রোগী ভর্তি রয়েছে। আইসোলেশন ওয়ার্ড অক্সিজেন এন্টিজেন টেস্ট এবং করোনা চিকিৎসার জন্য সব ব্যবস্থা প্রস্তুত রয়েছে।’

তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জেলার সর্বত্র প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কথা জানিয়ে নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. শামীম আহমেদ সিটি নিউজ ঢাকাকে বলেন, ‘করোনা মোকাবেলায় প্রত্যেক ওয়ার্ডে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে, যাতে জনসাধারণ মাস্ক ব্যবহার করে, টিকা গ্রহণ করে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা করে। এ ছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালে প্রয়োজনীয় বেড ডাক্তার, নার্স প্রস্তুত রয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য নাটোর জেলা প্রশাসন স্বাস্থ্য বিভাগ প্রস্তুত রয়েছে।

জেডখান/এম. জামান

আর্কাইভ