• ঢাকা শনিবার
    ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

মধু চাষ করে মাসে লাখ টাকা আয় বাবুলের

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২২, ০৯:২১ পিএম

মধু চাষ করে মাসে লাখ টাকা আয় বাবুলের

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরে মধু চাষ করে মাসে এক লাখ টাকা আয় করছেন বাবুল নামের এক মৌচাষি। একসময় গ্রামে গ্রামে ঘুরে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা দেয়া ছিল তার কাজ। এখন তিনি `মধু বাবুল' নামে পরিচিত।

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বাঁশভাগ গ্রামে বাবুর বাড়ি। সিংড়া ডাকমুন্ডপ বাজারে আছে তার মৌখামার। খামারে রয়েছে ৬০টি মৌবাক্স। খামারে কাজ করেন ৪ জন কর্মচারী।

সরিষার মৌসুমসহ বছরের মাসে প্রায় ১০০ মণ মধু সংগ্রহ করেন মৌচাষি বাবুল। এর মধ্যে সরিষা থেকে মধু সংগ্রহ হয় প্রায় ৪০ মণ। এতে খরচ বাদে বছরে তার আয় হয় লাখ থেকে লাখ টাকা।

একসময় গ্রামে চিকিৎসা করে কোনো রকম সংসার চালানো সেই বাবুল আজ স্বাবলম্বী একজন মানুষ।

মৌচাষি বাবুল বলেন, ‘বছরে মাস মধু সংগ্রহ করা গেলেও অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ এই মাস সরিষা থেকে তার সবচেয়ে বেশি মধু সংগ্রহ হয়।’ সরিষার মৌসুম শেষে বাকি মাস তিনি ধনিয়া, কালোজিরা লিচু থেকে মধু সংগ্রহ করেন। সংগৃহীত এই মধু অনলাইনের মাধ্যমে ঢাকা, খুলনা, রাজশাহীসহ বিভিন্ন পাইকারি বাজারে বিক্রয় করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘২০১৪ সালে নাটোর কৃষি মেলায় গিয়ে মৌচাষ প্রশিক্ষণের ওপর নাটোর বিসিকের একটি নিয়োগ দেখি। এরপর যোগাযোগ করে সেখানে ১৫ দিন প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করি মৌচাষ। পরে কৃষি অফিসের সহযোগিতায় বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রশিক্ষণ নেই। এখন আমি মৌচাষের পাশাপাশি বিসিকের একজন ট্রেইনার হিসেবেও কাজ করছি।

মাত্র বছরে মৌচাষে একজন সফল মানুষ বাবুল। তিন ছেলের মধ্যে ছোট ছেলে পড়ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। নাটোর শহরে জায়গা কিনেছেন। গ্রামের বাড়িতে কিনেছেন ধানী জমি। সব মিলে সচ্ছল সংসার মৌচাষি বাবুলের। বাবুলের এমন সফলতার সুনাম দেখে তার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে অনেকেই এগিয়ে আসছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. সেলিম রেজা বলেন, ‘সিংড়া উপজেলায় সরিষা ক্ষেতে ২৪৯টি মৌবাক্স স্থাপন করে মৌচাষিরা মধু সংগ্রহ করছেন। বছর প্রথমবারের মতো কৃষি অফিস থেকে আমরা ১০ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কৃষককে আধুনিক মৌবাক্স দিয়েছি। সরিষার এই সময়ে মধু সংগ্রহ করে কৃষকরা বাড়তি আয় করছেন। আমরা তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করছি।

নূর/ডা

আর্কাইভ