• ঢাকা রবিবার
    ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

শ্রেণিকক্ষ দখল করেছেন যুবলীগ সভাপতি, খোলা মাঠে চলছে পাঠদান

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২, ০৫:৩৪ পিএম

শ্রেণিকক্ষ দখল করেছেন যুবলীগ সভাপতি, খোলা মাঠে চলছে পাঠদান

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

তিনটি শ্রেণিকক্ষ। একটিতে শিক্ষকরা বসেন। আর একটি দখল করে মালামাল রেখেছেন যুবলীগ সভাপতি। বাকি একটি শ্রেণিকক্ষে একসঙ্গে চলছে ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির পাঠদান। তিনজন শিক্ষক একসঙ্গে ক্লাস নিচ্ছেন। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ সিন্দুর্ণা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে পাঠদানের এমন অদ্ভুত দৃশ্য দেখা যাবে।

ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। দীর্ঘ ৪ বছরে নিমার্ণ কাজ শেষ না করে উল্টো পুরাতন ভবনের একটি শ্রেণিকক্ষ দখল করে মালামাল রেখেছেন ঠিকাদার ও হাতীবান্ধা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হামিদ সরকার হামিদুল। ফলে এক শ্রেণিকক্ষেই একসঙ্গে চলছে ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির পাঠদান। তিনজন শিক্ষক একটি কক্ষে একসঙ্গে তিনটি ক্লাস নিচ্ছেন। শিশু শ্রেণির ক্লাস হচ্ছে কখনও বারান্দায়, কখনও আবার মাঠে খোলা আকাশের নিচে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম মোল্লা জানান, বিষয়টি একাধিকবার স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতর (এলজিইডি) ও প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগকে অবগত করা হলেও কোনো সফলতা আসেনি।

অভিযোগ উঠেছে, ওই নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ না হলেও অধিকাংশ টাকা উত্তোলন করেছেন ঠিকাদার ও হাতীবান্ধা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হামিদ সরকার হামিদুল। এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয় লোকজন এলজিইডির সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো সফলতা পায়নি।

এ বিষয়ে আব্দুল হামিদ সরকার হামিদুলের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

হাতীবান্ধা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মিঠুন বর্ম্মণ বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষে ঠিকাদার মালামাল রেখেছেন তা আমি জানি না। দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকৌশলী নজির হোসেন জানান, ঠিকাদারকে অনেক চাপ দেয়া হচ্ছে তারপরও তিনি কাজ শেষ করছেন না। দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন ভবন খুলে দেয়া হবে।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

 

আর্কাইভ