• ঢাকা শনিবার
    ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

মানিকগঞ্জে রেস্টুরেন্টে ছাত্রলীগের ভাঙচুর ও লুটপাট

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২, ০৫:১৬ এএম

মানিকগঞ্জে রেস্টুরেন্টে ছাত্রলীগের ভাঙচুর ও লুটপাট

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জ পৌরসভার বেউথা এলাকায় ‘টি অ্যান্ড ফিশ বারবিকিউ’ নামের একটি রেস্টুরেন্টে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ভাঙচুর ও লুটপাট করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাদ কোরাইশী সুমনের ঘনিষ্ট অনুসারীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রেস্টুরেন্ট মালিক।

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই রেস্টুরেন্টের সাতটি টিন শেডের ঘরের বেড়া কাটা ও ভাঙচুর করা। এ ছাড়া রেস্টুরেন্টের দুটি ফ্রিজ, বেশ কয়েকটি চেয়ার, টেবিলের পাটা, ফ্যান ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ ছাড়াও রেস্টেুরেন্টের বিভিন্ন মালামাল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি মানিকগঞ্জ পৌরসভার বেউথা এলাকায় কালীগঙ্গা নদীর পাড়ে ১৪০ ডিসিমেল জায়গায় ‘টি অ্যান্ড ফিশ বারবিকিউ’ নামের রেস্টুরেন্টটি গড়ে তোলেন তরুণ উদ্যোক্তা জনি।

টি অ্যান্ড ফিশ বারবিকিউ রেস্টুরেন্টের সত্বাধিকারী এমএম জনি বলেন, ‘গতকাল সোমবার রাতে রেস্টুরেন্টে মদ খেয়ে প্রবেশ করে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দফতর সম্পাদক মনিরুল হক মিম, ছাত্রলীগ নেতা শামিম হাসান বাবু, আতিকসহ কয়েকজন কর্মী। রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে তারা মাতলামি করতে থাকে। সেই সঙ্গে রেস্টুরেন্টে অবস্থান করা ক্রেতাদের তারা সেখান থেকে বের করে দেয়। আমি তাদেরকে মাতলামি না করে সেখান থেকে চলে যেতে অনুরোধ করি। সেসময় তারা নিজেদেরকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির ঘনিষ্ট সহযোগী হিসেবে দাবি করেন। পরে মালিক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সুমনের সঙ্গে ফোনে কথা বললে তারা ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। এর কিছু সময় পর ছাত্রলীগ নেতা মিম, বাবু, আতিক ১০-১২ জন সহযোগী নিয়ে রেস্টুরেন্টে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ক্যাশ কাউন্টার থেকে ২০-২৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। সব মিলে তারা রেস্টুরেন্টের ভাংচুর চালিয়ে প্রায় ৬-৭ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে।’

রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপক আজিজুল বলেন, ‘প্রথমে জনি ভাই তাদের বুঝিয়ে ফেরত পাঠালেও রাত ১০টার দিকে রেস্টুরেন্টে ঢুকেই মিম, বাবু ও আতিকসহ ছাত্রলীগের ১০-১২ জন নেতা-কর্মী ধারালো চাপাতি ও রাম দা নিয়ে ভাঙচুর করতে থাকেন। একপর্যায়ে শেফ হাসিবকে দুই হাতে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ ছাড়া আমাদের পাশে থাকা ফিফ রেস্টুরেন্টের সামনের কাঁচও ভেঙে ফেলেছে।’

এ ঘটনায় হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাদ কোরাইশী সুমনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যক্তির দায়ভার কখনও সংগঠন নেবে না। যেহেতু অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের কর্মীরা এখানে জড়িত তাই এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করে দেয়া হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মানিকগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার জানান, রেস্টুরেন্টের পক্ষ থেকে হাবিবুর রহমান একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 

আর্কাইভ