• ঢাকা শুক্রবার
    ০৩ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

বাড়ি করতে গিয়ে বিপাকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২২, ১০:২৯ পিএম

বাড়ি করতে গিয়ে বিপাকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা

নড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইল শহরের মহিষখোলা এলাকায় রবিউল ইসলামের ক্রয়কৃত পাঁচ শতক জমিতে বাড়িঘর নির্মাণে বাধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই এলাকার বাকার মোল্লা, বাচ্চু মিয়া মোল্লা, এমদাদুল শেখ ও আবুল কাশেম মোল্লা তাদের লোকজন ওই জমি দখলের উদ্দেশ্যে বাড়িঘর নির্মাণ করতে দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। জমি উদ্ধারসহ বাড়িঘর নির্মাণে বাধা না দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী রবিউল ইসলাম।

তিনি বলেন, নড়াইল পৌরসভার সিটি কলেজ পাড়ায় (মহিষখোলা) ৭৪ নম্বর মৌজার খতিয়ান নম্বর ৩৮৩ ও ৩৮৫, দাগ নম্বর ৩৩ এবং দলিল নম্বর ৮২৯১ জমির দক্ষিণ-পশ্চিম পাশ থেকে পাঁচ শতক জমি ক্রয় করি। এই জমিতে বাড়ি করতে গেলে বাকার মোল্লা, বাচ্চু, নজরুলসহ তাদের লোকজন বাঁধা দিয়ে জীবননাশের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় গত ৩০ অক্টোবর পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত আবেদন করেছি।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে তথ্য সহকারী পদে কর্মরত রবিউল ইসলাম বলেন, ক্রয়কৃত পাঁচ শতক জমিতে বাড়িঘর করতে গেলে অভিযুক্তরা আমাকে বিভিন্ন হুমকি দেয়। চাকরির সুবাধে আমি ঢাকায় থাকি। সাপ্তাহিক ছুটিতে বাড়িতে আসলে প্রতিপক্ষ আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমি নিরাপক্তাহীনতায় আছি। জীবনের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

তিনি আরো বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন জমিতে কাজে বার বার বাধা দিলে একপর্যায়ে জমির সাবেক মালিক আবু দারদাহের মাধ্যমে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাকার মোল্লা, বাচ্চু মিয়া মোল্লা, এমদাদুল শেখ ও আবুল কাশেম মোল্লাসহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা জারি হয়। যার নম্বর এম/পি ৪৯৫/২২। বিজ্ঞ আদালত শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নড়াইল সদর থানার ওসিকে আদেশ দেন। পুলিশ আদালতের আদেশ যথাযথ পালন করলেও অভিযুক্তরা আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে আমার জমিতে কাজ বাধা দেয়। পরবর্তীতে আবার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৮৮ ধারায় মামলা দায়ের করি।

এদিকে, গত ১৫ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে অবৈধভাবে জমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য লিখিত আবেদন করেন ভুক্তভোগী রবিউল ইসলাম।

অন্যদিকে, ২০ নভেম্বর নড়াইল সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে বাকার মোল্লা, বাচ্চু মিয়া মোল্লা, এমদাদুল শেখ ও আবুল কাশেম মোল্লাসহ মহিষখোলা এলাকার ২৮ জনের নামে মামলা দায়ের করেন তিনি (রবিউল)।

 

সাজেদ/এএল

আর্কাইভ