• ঢাকা শুক্রবার
    ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

শাঁখা-সিঁদুর পরে পূজামণ্ডপে গিয়ে ছিনতাই, অতঃপর...

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২৩, ০১:৩৩ এএম

শাঁখা-সিঁদুর পরে পূজামণ্ডপে গিয়ে ছিনতাই, অতঃপর...

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার মুরাদনগরে শাঁখা-সিঁদুর পরে একটি পূজামণ্ডপে গিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ছিনতাইকারী চক্রের তিন নারী সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি এ সময় তাদের কাছ থেকে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাংবাদিকদের ছিনতাইয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন আন্দিকোট ইউনিয়নের সিদ্ধেশ্বরী মন্দির থেকে ওই নারী ছিনতাইকারীদের আটক করে পুলিশ।

আটককৃত নারী ছিনতাইকারীরা হলো- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানার ধরমণ্ডল গ্রামের বসির মিয়ার স্ত্রী কাজলী আক্তার (৩৩), একই গ্রামের ছোট্টু মিয়ার স্ত্রী বানু বেগম (৩৯) ও হবিগঞ্জ জেলার লাখাই থানার গনিপুর গ্রামের গাজী মিয়ার স্ত্রী সোমা আক্তার (৩০)।

বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আন্দিকোট সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে পূজা শুরুর আগেই সেখানকার মন্দির কমিটির লোকজনের মাধ্যমে এলাকায় সচেতনতামূলক মাইকিং করা হয়। সেখানে বলা হয়েছিল- মন্দিরে পূজা চলাকালীন অন্য ধর্মের লোকজন যেন প্রবেশ না করে। এতে ছিনতাইকারী চক্রটি মুসলিম হয়েও হাতে শাঁখা ও মাথায় সিঁদুর ব্যবহার করে সনাতন ধর্মাবলম্বী সেজে পূজামণ্ডপে প্রবেশ করে।

তিনি জানান, পূজা চলাকালে একপর্যায়ে সেখানে আসা ৫ জন সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী দাবি করে তাদের গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন চুরি হয়ে গেছে। তখন সেখানে দায়িত্বে থাকা কমিটির লোকজন সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ৩ জন নারীকে সন্দেহ হলে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ সেখানে গিয়ে এই তিন নারীকে আটক করে।

ওসি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত নারীরা জানান তারা সবাই মুসলিম। পরে নারী পুলিশ সদস্য দিয়ে তাদের তল্লাশি করে একটি ছেঁড়া স্বর্ণের চেইন ও কিছু নগদ টাকা পাওয়া যায়। একপর্যায় তারা চুরির বিষয়টি স্বীকার করে বলে পূজামণ্ডপে তাদের ছাড়াও আরও দুই গ্রুপে ৭-৮ জন ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা সেখানে এসেছিল; বাকি চেইনগুলো ওই সদস্যদের কাছে।

তিনি জানান, এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

আর্কাইভ