• ঢাকা শুক্রবার
    ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

মাকে হত্যার পর পাঁচ টুকরো: ছেলেসহ সাতজনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২৩, ০৯:৪২ পিএম

মাকে হত্যার পর পাঁচ টুকরো: ছেলেসহ সাতজনের মৃত্যুদণ্ড

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় নারীকে হত্যার পর ৫ টুকরা করার মামলায় তার ছেলেসহ সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) নোয়াখালীর জেলা ও দায়রা জজ নিলুফার সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন।  মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নিহতের ছেলে হুমায়ুন কবির (২৯), মো. নিরব (২৬), কসাই নুর ইসলাম (৩২), কালাম (৩০), সুমন (৩৩), হামিদ (২৮), ইসমাইল (৩০)।

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। সাজার পাশাপাশি বিচারক প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গুলজার আহমেদ জুয়েল জানান, ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর বিকেলে সুবর্ণচর উপজেলার জাহাজমারা গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে গৃহবধূ নুর জাহানের (৫৮) মাথাসহ মরদেহের দুই টুকরো এবং পরদিন একই স্থান থেকে আরও তিন টুকরো উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রথমে নিহতের ছেলে হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে তদন্তের এক পর্যায়ে সন্দেহভাজন হিসেবে মো. নীরব ও কসাই নুর ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তাদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যা মামলার বাদী নিজেই জড়িত বলে তথ্য বেরিয়ে আসে। এরপর পুলিশ হুমায়ুনকে প্রধান আসামি করে আরেকটি মামলা করে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, নুর জাহানের প্রথম সংসারের ছেলে বেলাল হোসেন ঘটনার বছরখানেক আগে মারা যান। তার ঋণের টাকা পরিশোধ নিয়ে দ্বিতীয় সংসারের ছেলে হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে নুর জাহানের বনিবনা হচ্ছিল না। এর জেরেই মাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন হুমায়ুন। আর সেই হত্যাকাণ্ডে বন্ধু, প্রতিবেশী ও স্বজনরা তাকে সহায়তা করে।

৬ অক্টোবর রাতে নুর জাহানকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। পরে লাশ পাঁচ টুকরো করে ধানক্ষেতে ফেলে দেয়া হয়। পাঁচজন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দেন। আটকদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র, বঁটি, একটি কোদাল ও মরদেহের পরনে থাকা শাড়ি উদ্ধার করে পুলিশ।

 

 

 

এএল/

আর্কাইভ