• ঢাকা বুধবার
    ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

হোটেলের দরজা ছিদ্র করে গোপনে ভিডিও, অতঃপর...

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩, ০২:১৫ এএম

হোটেলের দরজা ছিদ্র করে গোপনে ভিডিও, অতঃপর...

দেশজুড়ে ডেস্ক

রাজশাহীতে ‘পপুলার-২’ নামের হোটেলকক্ষের দরজায় ছিদ্র করে গোপনে ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে দুজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

আসামি দুজন হলেন- ওই হোটেল ব্যবস্থাপক শরীফুল ইসলাম (২৮) এবং একটি ওষুধ কোম্পানির কর্মকর্তা আবদুল নূর (২১)। শরীফুলের বাড়ি নওগাঁর পোরশায় এবং নূরের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২৯ জানুয়ারি) রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী তার স্ত্রীকে ডাক্তার দেখিয়ে নিয়ে ওই হোটেলে ওঠেন। তার স্ত্রী চিকিৎসার জন্য গ্রাম থেকে রাজশাহীতে এসেছিলেন। রাতে হোটেল পপুলার-২-এ ওঠার ঘণ্টা দুয়েক পর তাদেরকে বাইরে আসতে বলা হয়। তারা বাইরে না এলে হোটেলের দরজায় ধাক্কাধাক্কি করতে থাকেন হোটেলের ব্যবস্থাপক ও তার সহযোগীরা। তাদের চাপের মুখে পরে ওই শিক্ষার্থী ও তার স্ত্রী দরজা খুলে দেন। এ সময় তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। আর এই টাকা না দিলে গোপনে ধারণ করা তাদের ভিডিও ইন্টানেটে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন তারা।

এ সময় ওই শিক্ষার্থী ও তার স্ত্রী তাদের সঙ্গে জোরাজোরি করে কোনোভাবে ওই হোটেল থেকে বের হয়ে আসেন। পরে রাজশাহী স্টেশনে গিয়ে বাকি রাত কাটান। পরের দিন সকালে স্ত্রীকে বাড়ির উদ্দেশে ট্রেনে তুলে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যান ওই ছাত্র। এরপর দুপুর থেকে ওই শিক্ষার্থীকে হোটেলের কর্মচারীরা ফোন করতে থাকেন। তাদের কাছে অনেক ভিডিও রয়েছে দাবি করে দেখা করতে বলেন। ওই শিক্ষার্থী বিষয়টি তার বিভাগের এক বড় ভাইকে জানান। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক নেতাকে জানালে রাজপাড়া থানা ছাত্রলীগকে বিষয়টি জানানো হয়। তাদের সহযোগিতায় স্থানীয় লোকজন ওই হোটেলে গিয়ে আবদুল নূরকে আটকে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে তার মোবাইল ফোন জব্দ করে ওই ভিডিওগুলো পান।

এ ঘটনার পর গত সোমবার দিবাগত রাতে ওই শিক্ষার্থী পাঁচজনকে আসামি করে রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন।

রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এস এম সিদ্দিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা মুঠোফোনে মামলার আলামত হিসেবে গোপনে ধারণ করা ভিডিও পাওয়া গেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা গোপনে ভিডিও করার বিষয়টি স্বীকারও করেছেন। এ মামলায় পলাতক আরও তিনজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।

আর্কাইভ